অপূর্ব লাল সরকার, আগৈলঝাড়া (বরিশাল) থেকে : বরিশালের আগৈলঝাড়ায় বাল্যবিয়ে করার অপরাধে বরকে কারাদন্ড ও কনের পিতা-মাতাকে জরিমানা করেছে ভ্রম্যমান আদালত। কারাদন্ডাদেশ প্রাপ্ত বরকে জেলহাজতে প্রেরণ করা হয়েছে। প্রশাসন আগৈলঝাড়া উপজেলাকে বাল্যবিবাহ মূক্ত ঘোষণা করার পরেও বিয়ে রেজিস্টার্ড কাজীদের সহযোগিতায় অহরহ চলছে বাল্যবিবাহ। সাধারণ মানুষের দাবি- যেসব কাজী বিয়ে রেজিষ্ট্রিতে সরকারে আইন মানছেনা তাদের সাজাসহ লাইসেন্স বাতিল করা হোক। উপজেলা মহিলা বিষয়ক দফতরের কর্মকর্তাকে নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে। তিনি সরকারের একজন দায়িত্বশীল কর্মকর্তা হলেও বাল্যবিবাহ প্রতিরোধে তার কোন কার্যকরী ভূমিকা নেই।
সূত্রে জানা গেছে, আগৈলঝাড়া উপজেলার উত্তর শিহিপাশা গ্রামের আলাউদ্দিন মারামাতের মেয়ে গৈলা মডেল মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ৬ষ্ঠ শ্রেণীর ছাত্রী সোনালী আক্তার (১৩) কে সাথে একই গ্রামের মাজেদ মৃধার ছেলে গৈলা বাজারের টেইলার সোহাগ মৃধার সাথে সম্প্রতি বিয়ে দেয়া হয়। এ সংবাদ থানা জানতে পেরে গত বৃহস্পতিবার দুপুরে বর সোহাগ মৃধা ও কনের পিতা-মাতাকে আটক করে পুলিশ। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় আগৈলঝাড়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ভারপ্রাপ্ত) ও ভ্রাম্যমান আদালতের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট শতরূপা তালুকদার বর সোহাগ মৃধাকে ১৫দিনের বিনাশ্রম কারাদন্ডাদেশ প্রদান করেন এবং কনের পিতা আলাউদ্দিন মারামাত ও মাতা চন্দ্রবান বেগমকে দু’হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। গতকাল শুক্রবার সকালে বরকে পুলিশ জেলহাজতে প্রেরণ করা হয়েছে। এলাকাবাসী ক্ষোভ প্রকাশ করে সাংবাদিকদের কাছে বলেন, যে কাজী এই বাল্যবিবাহ রেজিস্ট্রি করিয়েছে তারও বিচার দাবি করছি প্রশাসনের কাছে।