তার নাম নাম সিনথিয়া ডি কোস্টা (২২) ।বাবা এন্ড্রু ডি কোস্টা ও মা সিসিলিয়া। মা-বাবার সঙ্গে সিনথিয়া বাস করতেন ওয়াশিংটন ডিসি সংলগ্ন ম্যারিল্যান্ড রাজ্যের সিলভার স্প্রিং সিটিতে।
শুক্রবার এ হত্যাকাণ্ডে জড়িত সন্দেহে ‘প্রেমিক’ ডেরিক ম্যানকে গ্রেপ্তার করেছে ইন্ডিয়ানা অঙ্গরাজ্যের পুলিশ।
সিনথিয়ার মা সিসিলিয়া মঙ্গলবার এসব তথ্য বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে জানিয়ে বলেন, “সিনথিয়া চাকরির সুবাদে ওয়াশিংটন ডিসিতে একটি সম্মেলনে গেলে ডেরিক নামের এক কৃষ্ণাঙ্গ যুবকের সঙ্গে দেখা হয়। প্রথম দেখাতে ডেরিক সিনথিয়াকে ভালো লাগে বলে জানায় এবং তাকে বিয়ের প্রস্তাব দেয়। সিনথিয়া বিষয়টি নিয়ে আমার সঙ্গে আলাপ করে। যুবকে দেখতে চাইলে সে তাকে বাসায় এনে পরিচয় করিয়ে দেয়।”
সিসিলিয়া জানান, মার্কিন সেনাবাহিনীতে কর্মরত ডেরিকের সঙ্গে মেয়ের বিয়ে দিতে না চাইলে সিনথিয়া ওই যুবকের সঙ্গে প্রেমের সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েন। যুবকটি ভার্জিনিয়ায় থাকতে সিনথিয়া প্রায়ই তার বাড়ি যেত। এক সময় যুবকের সঙ্গে মনোমালিন্য দেখা দিলে সিনথিয়া ছয় মাস আগে বাসায় চলে আসে।
এর কারণ জানতে চাইলে সিনথিয়া তার মাকে জানান, “ওই যুবক সেনাবাহিনীর চাকরি ছেড়ে দিয়েছে এবং তাকে ইন্ডিয়ানায় নিজ বাড়িতে নিয়ে যেতে চায়। কিন্তু সে আত্মীয়-স্বজন ছেড়ে মেরিল্যান্ড ছাড়তে চান না। এই নিয়ে দুজনের মধ্যে মনোমালিন্যের কারণে সে বাসায় ফিরেছে।”
সিসিলিয়া জানান, গত ১৩ জানুয়ারি সিনথিয়া নিজে গাড়ি চালিয়ে ইন্ডিয়ানায় সেই যুবকের সঙ্গে দেখা করতে যায় মা বাবার বাধা উপেক্ষা করে। সিনথিয়া সেখান থেকে তার মার সঙ্গে প্রতিদিনই টেলিফোনে কথা বলতো এবং সব ঠিক আছে বলেও উল্লেখ করতো।
এমনি অবস্থায় শুক্রবার বিকেলে ইন্ডিয়ানা পুলিশ সিনথিয়ার বাবাকে জানান যে তার মেয়ে গুলিতে নিহত হয়েছে। পুলিশ ইতোমধ্যে ওই যুবককে গ্রেপ্তার করেছে বলে জানান সিনথিয়ার মা।
সূত্র, বিডিনিউজ২৪.কম