আন্তর্জাতিক ডেস্ক : মালয়েশিয়ায় দ্বিতীয় নিবাস মালয়েশিয়া মাই সেকেন্ড হোমে (এমএম ২ এইচ) কর্মসূচির আওতায় চলতি ২০১৭ সালের প্রথম ছয় মাসে ১৬৩ জন বাংলাদেশি অংশ নিয়েছেন।
সেকেন্ড হোম কর্মসূচির ওয়েবসাইটে প্রাপ্ত তথ্যে জানা যায়, এ কর্মসূচীতে এ পর্যন্ত মোট ৩ হাজার ৬৫৬ জন বাংলাদেশী নাগরিক অংশ নিয়েছে।
২০০২ সালে চালু হওয়া এমএম ২ এইচ হলো এমন একটি কর্মসূচি, যেখানে নির্দিষ্ট পরিমাণ অর্থ দিয়ে অন্য দেশের একজন নাগরিক মালয়েশিয়ায় দীর্ঘমেয়াদি বসবাস ও অন্যান্য সুবিধা পান। বিভিন্ন দেশ থেকে এ কর্মসূচিতে গত জুন পর্যন্ত সব মিলিয়ে ৩৪ হাজার ৫৯১ জন অংশ নিয়েছেন।
মালয়েশিয়ার এ কর্মসূচিতে অংশ নেওয়া শীর্ষ দেশগুলোর মধ্যে তৃতীয় অবস্থানে রয়েছে বাংলাদেশ। প্রথম ও দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে যথাক্রমে চীন ও জাপান।
এই সুবিধা পেতে হলে একজন ব্যক্তিকে মালয়েশীয় রিঙ্গিতে ৭ হাজার, স্বামী-স্ত্রীর জন্য সাড়ে ৭ হাজার এবং দুজন সন্তান সহ একটি পরিবারের জন্য ৮ হাজার ফি দিতে হয়। পরিবারের সদস্য এর চেয়ে বেশি হলে প্রতিটি সন্তানের জন্য বাড়তি আড়াই’শ মালয়েশীয় রিঙ্গিত ফি দিতে হয়।
তবে, সংশ্লিষ্ট মহল মনে করেন, বাংলাদেশ থেকে মালয়েশিয়ায় নিবাস গড়তে বৈধভাবে অর্থ নেওয়ার কোনো সুযোগ নেই। ফলে সেকেন্ড হোম কর্মসূচিতে যাঁরা অংশ নিয়েছেন তাঁরা মূলত টাকা পাচার করেছেন।
দুর্নীতি বিরোধী সংস্থা ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ (টিআইবি) মালয়েশিয়ার সেকেন্ড হোম কর্মসূচিকে বাংলাদেশ থেকে অর্থপাচারের একটি বড় মাধ্যম বলে চিহ্নিত করেছে। শুধু সেকেন্ড হোম কর্মসূচি নয়, সেখানে বাড়ী-গাড়ী কেনা এবং ব্যবসা-বাণিজ্য করার জন্যও বাংলাদেশ থেকে অর্থ পাচার হচ্ছে।
এ প্রসঙ্গে টিআইবি’র নির্বাহী পরিচালক ইফতেখারুজ্জামান বলেছেন, মালয়েশিয়ায় অর্থ পাচারকারীদের ধরতে সরকারের সদিচ্ছার অভাব রয়েছে।
বাংলাদেশের মতো মালয়েশিয়াও জাতিসংঘের দুর্নীতিবিরোধী কনভেনশনে সই করেছে। এর আওতায় বাংলাদেশ মালয়েশিয়ার কাছে তথ্য চাইতে পারে। তিনি বিশ্ময় প্রকাশ করে বলেন, “সুযোগ থাকার পরও সরকার কেন অর্থ পাচারকারীদের ধরছে না, সেটাই অবাক করার বিষয়। (পার্সটুডে)