নিজস্ব প্রতিনিধিঃ বালাগঞ্জের পূর্ব পৈলনপুর ইউনিয়নের প্রেমবাজারে পূর্ব শত্রুতার জের ধরে সংঘর্ষে ১ জন নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন অর্ধশতাধিক। এছাড়াও দোকানপাট ভাংচুর করা হয়েছে। সংঘর্ষের ঘটনায় লালন মিয়া নামে ১ জনের অবস্থা আশংকাজনক। আহত উভয় পক্ষের লোকজন সিলেট, মৌলভীবাজার ও বালাগঞ্জ হাসপাতালে চিকিৎসা নেয়। বালাগঞ্জ থানা ও এলাকাবাসীর কাছ থেকে জানা যায়, গত ৫ সেপ্টেম্বর বিকাল সাড়ে ৩ টার দিকে পৈলনপুর ইউনিয়নের জুয়েল আহমদকে জাহাঙ্গীর মিয়া গংরা মারধর করে বাজার থেকে তাড়িয়ে দেয়। পরে এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে পূর্ব ইছাপুর ও পশ্চিম ইছাপুর একপক্ষ এবং ঐয়া ও কিত্তে জালালপুর গ্রামবাসীরা দুভাগে বিভক্ত হয়ে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। এতে উভয় পক্ষের প্রায় অর্ধশতাধিক লোক আহত হয়। এদিকে মারধর করার সময় ইট পাটকেল নিক্ষেপে পূর্ব ইছাপুরের দেলোয়ার হোসেন দিলাবর গুরুতর আহত হয়ে ছাদে থাকা বৈদ্যুতিক শটে গুরুতর আহত হয়ে ছাঁদ থেকে পড়ে যায়। গুরুতর আহত অবস্থায় দেলোয়ার হোসেন দিলাবরকে সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য নিয়ে গেলে রাত বারোটার দিকে সে মৃত্যুবরণ করেন। এব্যাপারে সালাম মিয়া বাদী হয়ে বালাগঞ্জ থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করে। মামলা নং-২, ০৬/০৯/২০১৭ইং। এদিকে বালাগঞ্জ থানা পুলিশ ৭ জনকে আটক করেছে। আটককৃতরা হলেন আব্দুল হাসিম, আব্দুস শুকুর, নিজাম মিয়া, মনছুর মিয়া, কফিল মিয়া, শহীদ মিয়া ও আমীর আলী। এ ব্যাপারে বর্তমান চেয়ারম্যান আব্দুল মতিন অগ্রদৃষ্টিকে জানান, আমি এ ঘটনার সময় এখানে ছিলাম না। পরে খবর পেয়েছি। দেলোয়ার হোসেন দিলাবর ইটপাটকেল নিক্ষেপের সময় বৈদ্যুতিক শট খেয়ে ছাদ থেকে পরে গুরুতর আহত হয়ে রাতে মারা যায়। এই সংঘর্ষে উভয় পক্ষের প্রায় অর্ধশতাধিক লোক আহত হয়। অপরদিকে সাবেক চেয়ারম্যান মোঃ শান উল্যা অগ্রদৃষ্টিকে, বলেন ঘটনাস্থলে আমি উপস্থিত ছিলাম না। তবে শুনেছি জুয়েল আহমদ ও জাহাঙ্গীরের মধ্যে কথা কাটাকাটি থেকে সংঘর্ষের রূপ নিয়ে উভয় গ্রামবাসী দুইভাগে বিভক্ত হয়ে সংঘর্ষে লিপ্ত হয়ে বাজারের বেশ কয়টি ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ভাংচুর সহ ১ জন নিহত হয়। এ ব্যাপারে বালাগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ এস.এম. জালাল উদ্দিন অগ্রদৃষ্টিকে বলেন, পূর্ব শত্রুতার জের ধরেই এ সংঘর্ষ হয়েছে। বালাগঞ্জ থানায় সালাম মিয়া বাদী হয়ে ১টি হত্যা মামলা দায়ের করেছে। ৭ জনকে আটক করেছি। এলাকার পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে।
এদিকে বিশ্বস্ত এক সূত্রে জানাগেছে, বিভিন্ন মামলার পলাতক আসামী যথাক্রমে, মোঃ জয়নাল মিয়া, সুহেল মিয়া, মোঃ আক্তার মিয়াসহ তাদের সাঙ্গপাঙ্গরাই উপরোক্ত ঘটনার সাথে ওতপ্রোত ভাবে জড়িত।