মিজানপনা, রাজাপুর(ঝালকাঠী) থেকেঃ ঝালকাঠির রাজাপুর উপজেলার গালুয়া ইউনিয়নের নিজ গালুয়ায় ঐতিহ্যবাহী জি,কে মাধ্যমিক বিদ্যালয় সংলগ্ন খালে উপর গত পাঁচ বছর পূর্বে শুরু হওয়া একটি ব্রিজ ও রাস্তার নির্মান কাজ রহস্যজনক ভাবে বন্ধ রয়েছে। আর এ কারনেই গালুয়া ইউনিয়নের জি,কে মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ও ঐ এলাকার ৮/৯ টি গ্রামের হাজার হাজার মানুষ চরম ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন। ৮/৯ টি গ্রামের মানুষ উপজেলা থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে। এছাড়া রাজাপুর সদরের সাথে যোগাযোগের একমাত্র অবলম্বন ব্রিজটি নির্মান না হওয়ায় এলাকার বিভিন্ন স্কুল-মাদ্রাসার ছাত্র-ছাত্রীসহ সাধারন মানুষ পড়েছে চরম দুর্ভোগে।
এখানে পাশাপাশি তিনটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান রয়েছে, নিজ গালুয়া প্রাথমিক বিদ্যালয়, জি,কে মাধ্যমিক বিদ্যালয় ও একটি মাদ্রাসা। এখানে চলাচলের একমাত্র ব্রীজটি না থাকায় এই তিন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিশু-কিশোর শিক্ষার্থীরা প্রতিনিয়ত ঝুকিপূর্ন বাঁশের সাকো দিয়ে পারাপার হতে গিয়ে দুর্ঘটনার শিকার হচ্ছে বলে জানিয়েছেন জি,কে মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সিনিয়র শিক্ষক মোঃ আবুল হোসাইন। জানাগেছে, ২০১১ সালের জুলাই মাসে ব্রিজের কাজের অনুমোদন পায় ঝালকাঠির মেসার্স জাহাঙ্গীর হোসেন নামে একটি ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান । কাজের অনুমোদন পাওয়ার পরে পাঁচ বছর পার হলেও একটি গাইডওয়াল ছাড়া আর কিছুই নির্মান করতে পারেনি ওই ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান। গত চারবছর ধরে একটি ব্রিজের অভাবে এলাকার ছাত্র-শিক্ষক বাঁশের সাকো দিয়ে পারাপার হতে গিয়ে কয়েক বার দূর্ঘটনার শিকার হয়েছে বেশ কয়েকজন। এদের মধ্যে বেশির ভাগই শিশু ও বৃদ্ধ। কিন্তু তাতেও টনক নড়েনি ওই ঠিকাদার প্রতিষ্ঠানের বা প্রকল্প বাস্তবায়ন সংস্থা এল,জি,ই,ডির্ কতৃপক্ষের। এ ব্যাপারে অত্র এলাকার ইউনিয়ন পরিষদ সদস্য মোঃ চাঁন মিয়া বলেন, আমারা এই ব্রিজটির জন্য এল,জি,ই,ডির নির্বাহী প্রকৌশলীর কাছে বহুবার ধর্না দিয়েও কোন সুফল পাইনি।
এ ব্যাপারে উপজেলা প্রকৌশলী মোঃ লুৎফর রহমান বলেন, এই কাজটির প্রক্কলিত ব্যায় ৪৩ লাখ ৩৮হাজার টাকা। ২০১১ সালে মেসার্স জাহাঙ্গীর হোসেন নামে একটি ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানকে এক বছরের সময় সীমা বেধে দিয়ে কার্য্যাদেশ দেয়া হয়। ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান কাজটি শুরুর পরপরই আবার বন্ধ করে দেয়। নির্মান কাজটি পূনরায় শুরু করার জন্য লিখিত ভাবে বার বার তাগিদ দিলেও তার কোন তোয়াক্কা করছেনা ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান ।
ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের সত্বাধিকারী মোঃ জাহাঙ্গীর হোসেনের কাছে এ ব্যাপারে জানতে চাইলে তিনি অগ্রদৃষ্টিকে বলেন, আমরা খুব দ্রুত কাজটি শেষ করব, কাজটি এতদিন না করতে পারার জন্য আমি আন্তরিক ভাবে দুঃখ প্রকাশ করছি।