গবেষণা রকেট বিকল হয়ে পাহাড়ের ওপর পড়া এবং উদ্ধারকাজ শুরুর বিষয়টি আনুষ্ঠানিকভাবে না জানানোর জন্য সুইডেনের সমালোচনা করেছে নরওয়ে।
সুইডেনের উৎক্ষেপণ করা একটি গবেষণা রকেট বিকল হয়ে দুর্ঘটনাবশত পড়েছে প্রতিবেশী দেশ নরওয়ের ভূখন্ডে। এ ঘটনায় ক্ষেপেছে নরওয়ে। বিষয়টি আনুষ্ঠানিকভাবে না জানানোর জন্য সুইডেনের সমালোচনা করেছে দেশটি।
বিবিসি জানায়, সুইডেন স্পেস কর্পোরেশন (এসএসসি) সোমবার স্থানীয় সময় সকাল ৭ টা ২০ মিনিটের দিকে দেশের উত্তরাঞ্চলের এসরেঞ্জ স্পেস সেন্টার থেকে রকেটটি উৎক্ষেপণ করেছিল।
এরপর একপর্যায়ে সেটি বিকল হয়ে নরওয়ের ১৫ কিলোমিটার (৯ দশমিক ৩২ মাইল) ভেতরে পাহাড়ি অঞ্চলে গিয়ে পড়ে। তবে এতে কেউ হতাহত হয়নি বা কোনও ক্ষয়ক্ষতি হয়নি।
সুইডেন স্পেস কর্পোরেশন (এসএসসি) জানায়, রকেটটি ২৫০ কিলোমিটার উচ্চতায় পৌঁছেছিল, সেখানে শূন্য মাধ্যাকর্ষণে পরীক্ষা চালানো হয়।
রকেটটি ভেঙে পড়ার বিষয়ে এসএসসি’র যোগাযোগ প্রধান ফিলিপ ওহলসন মঙ্গলবার বলেছেন, “এটি পাহাড়ের ১০০০ মিটার উচ্চতায় গিয়ে পড়েছে। ওই এলাকা থেকে সবচেয়ে কাছের জনবসতি আছে ১০ কিলোমিটার দূরেই।”
এসএসসি এ ঘটনার জন্য ক্ষমা চেয়েছে এবং ঘটনাটি তদন্ত করে দেখছে। ফিলিপ বলেন, যখন কোনও সমস্যা দেখা দেয় তখন আমাদের কিছু রুটিন কাজ থাকে এবং আমরা সুইডিশ ও নরওয়ে সরকার ও অন্যান্য সংস্থাকে এ বিষয়ে অবহিত করি।
সুইডেন স্পেস করপোরেশন বলছে, রকেটের ধ্বংসাবশেষ পুনরুদ্ধারের কাজ চলছে এবং দুর্ঘটনার পেছনের কারণ নির্ণয়ে প্রযুক্তিগত খুঁটিনাটি নিয়ে তদন্ত করা হচ্ছে।
তবে নরওয়ের পররাষ্ট্রমন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র বলেছেন, “মন্ত্রণালয় রকেট অবতরণ বা এর ধ্বংসাবশেষ উদ্ধারের ব্যাপারে সুইডেনের কাছ থেকে আনুষ্ঠানিক কোনও নোটিশ পায়নি। যখন সীমান্ত লঙ্ঘনের এ ধরনের কোনও ঘটনা ঘটে, তখন দায়িত্বশীল ব্যক্তিদের যথাযথ চ্যানেলের মাধ্যমে সংশ্লিষ্ট নরওয়েজিয়ান কর্তৃপক্ষকে অবিলম্বে জানানো খুবই গুরুত্বপূর্ণ।”
নিজেদের ভূখণ্ডে কোনও ধরনের অননুমোদিত কর্মকাণ্ড নরওয়ে গুরুত্ব সহকারে নেয় বলেও এক ইমেইলে জানিয়েছেন দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র।
তাছাড়া, রকেটের ধ্বংসাবশেষ উদ্ধারে নরওয়ের ভূখণ্ডে কাজ করার জন্যও সুইডেনের পূর্ব সম্মতি নেওয়া প্রয়োজন বলে জানান তিনি। রকেট পড়ে আশেপাশের এলাকায় কোনও ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে কিনা তা জানা নেই বলে জানিয়েছে নরওয়ের পররাষ্ট্রমন্ত্রণালয়।
সূত্র, বিডিনিউজ২৪ ডটকম