প্রধান নির্বাচন কমিশনার কে এম নূরুল হুদা বলেছেন, ঢাকার দুই সিটি করপোরেশনে আসন্ন নির্বাচন একাদশ জাতীয় নির্বাচনের মতো ‘সুষ্ঠু’ হবে বলে তিনি আশা করছেন।
মঙ্গলবার আগারগাঁওয়ের ইটিআই ভবনে ঢাকার ভোট নিয়ে রিটার্নিং কর্মকর্তা ও নির্বাহী হাকিমদের ব্রিফিংয়ে তিনি বলেন, “আমরা চাই ঢাকা সিটি করপোরেশন নির্বাচন আপনাদের পরিচালনায় সুষ্ঠু হবে যেমনটি হয়েছে জাতীয় সংসদ নির্বাচন।
“আচরণবিধির দিকে আপনাদের দৃষ্টি দিতে হবে, নজর দিতে হবে। বিধি প্রতিপালন কিভাবে হয়, সেটা যদি দেখতে পারেন তাহলে দায়িত্বপালন করা অনেক ক্ষেত্রে সম্পন্ন হবে।”
গত ৩০ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত জাতীয় নির্বাচনে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ বড় ধরনের জয়ের পর আবারও সরকারে। অন্যদিকে ভোটে ‘কারচুপির’ অভিযোগ তুলে তার ফল প্রত্যাখ্যান করে নতুন নির্বাচন দাবি জানিয়ে আসছে জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট ও তাদের শরিক বিএনপি।
মঙ্গলবারের ব্রিফিংয়ে সিইসি নূরুল হুদা ঢাকা সিটি করপোরেশন নির্বাচনে প্রার্থীরা যাতে আচরণবিধি প্রতিপালন করেন, সে ব্যাপারে কঠোর হতে নির্বাহী হাকিমদের নির্দেশ দেন।
তিনি বলেন, “চারজন সহকর্মী (চার নির্বাচন কমিশনার) একটা কমন কথা বলেছেন- আইনানুগ নির্বাচন করতে হবে। তা প্রয়োগ করেই এই নির্বাচনের আচরণবিধি কিভাবে প্রতিপালিত হয় সেটা দেখতে হবে।
“সমস্যা হয় কাউন্সিলরদেরকে নিয়ে। কাউন্সিলররা এতো বেশি প্রতিদ্বন্দ্বিতায় থাকেন, আইন-কানুনের অবনতির ক্ষেত্রে কোনো কোনো জায়গায় তাদের ভূমিকা থেকে যায়। তবে আপনাদের যে ক্ষিপ্রতা, নিরপেক্ষতা, আপনাদের বিচারিক মনোভাব নিয়ে যদি তাদের সামনে যান দেখবেন প্রত্যেকে আপনাদের কথা শুনবে।”
ইসি সচিবের সভাপতিত্বে এ অনুষ্ঠানে চার নির্বাচন কমিশনারও উপস্থিত ছিলেন।
ঢাকা উত্তর সিটি মেয়রের শূন্য পদে ও ৯ ও ২১ নম্বর সাধরণ ওয়ার্ড কাউন্সিলর পদে উপনির্বাচন; এবং দুই সিটির সম্প্রসারিত ৩৬টি ওয়ার্ড কাউন্সিলর পদ ও ১২টি সংরক্ষিত ওয়ার্ডে ভোট হবে আগামী ২৮ ফেব্রুয়ারি।
একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের মতো ঢাকা সিটি করপোরেশন নির্বাচনও সুষ্ঠু চান সিইসি কে এম নূরুল হুদা।
আইনানুগ দৃষ্টিভঙ্গি ও বিচারিক মনোভাব নিয়ে কাজ করার নির্দেশ দেন সিইসি।
“আপনাদের হাতে কোনো অনিয়ম হবে না এ ব্যাপারে আমি নিশ্চিত। বিশেষ করে নিরপেক্ষতার ক্ষেত্রে আপনাদের আপস হবে না এ ব্যাপারে আমার কোনো সন্দেহ নেই। আপনাদের প্রতি মানুষের যে আস্থা, সম্মান, ভরসা, সেই জায়গাটায় আপনারা কখনই কম্প্রোমাইজ করবেন না সেটা আমি জানি।”
এবার ঢাকা উত্তরে মেয়র পদে ৫ জন এবং উত্তর ও দক্ষিণে কাউন্সিলর পদে ৩৭৯ জন প্রার্থীর মনোনয়নপত্র বৈধ হয়েছে। ৯ ফেব্রুয়ারি প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ দিন।
আপিল করেছেন শাফিন
প্রার্থিতা ফিরে পেতে মনোয়নপত্র বাতিলের বিরুদ্ধে আপিল করেছেন জাতীয় পার্টির প্রার্থী শাফিন আহমেদ।
বিভাগীয় কমিশনারের কার্যালয়ে মঙ্গলবার সকালে রিটার্নিং কর্মকর্তার সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে আপিল করেন তিনি।
ঋণখেলাপি হওয়ায় প্রার্থিতা বাতিল হয়েছিল শাফিনের।
শাফিন বলেন, “আপিল করেছি। দুয়েকদিনের মধ্যে সিদ্ধান্ত পাব আশা করি।”