ডেস্ক নিউজ : বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে জেলকোড অনুযায়ী প্রথম শ্রেণির বন্দি হিসেবে সব ধরনের সুযোগ সুবিধা দেয়ার নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৫ এর বিচারক ড. আখতারুজ্জামান জিয়া রবিবার সকালে এ আদেশ দেন।
এর আগে সকালে খালেদা জিয়ার আইনজীবী প্যানেলের সদস্য অ্যাডভোকেট জাকির হোসেন ভুইয়া ও অ্যাডভোকেট আমিনুল ইসলাম সংশ্লিষ্ট আদালতে এই আবেদন করেন।
তারা জানিয়েছেন, কারাবিধি অনুযায়ী সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া ভিভিশন পাওয়ার যোগ্য বলে তারা আবেদন করেছিলেন।
জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট মামলায় খালেদা জিয়ার সাজা হওয়ার পর পুরান ঢাকার নাজিমউদ্দিন রোডের সাবেক ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে রয়েছেন সাবেক এ প্রধানমন্ত্রী। কিন্তু কারাগারে তাকে সাধারণ কয়েদি হিসেবে রাখা হয়েছে বলে অভিযোগ বিএনপির।
শনিবার কারাগারে খালেদা জিয়ার সঙ্গে দেখা করতে যান বিএনপিপন্থী আইনজীবীরা। সাক্ষাৎ শেষে সাংবাদিকদের দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ বলেন, তিনবারের সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়াকে ডিভিশন দেয়া হয়নি। তাকে একজন সাধারণ কয়েদি হিসেবে রাখা হয়েছে। নির্জন কারাবাসে রাখা হয়েছে নেত্রীকে। সেখানে অন্য কোনো কারাবন্দী নেই। এটি অন্যায়, আমরা এ বিষয়ে আদালতে যাব।
ওই দিন রাতে এক ব্রিফিং এ একই দাবি করে দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, জেলকোড ভঙ্গ করে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে সম্পূর্ণ অমানবিকভাবে রাখা হয়েছে।
এর প্রেক্ষিতে আদালতের কাছে রবিবার খালেদা জিয়াকে প্রথম শ্রেণির বন্দির মর্যাদা দিতে ওই আবেদন করেন তার আইনজীবীরা।
উল্লেখ্য, জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট মামলায় বৃহস্পতিবার বকশীবাজার আলিয়া মাদ্রাসা মাঠে স্থাপিত ঢাকার পাঁচ নম্বর বিশেষ আদালতের বিচারক ড. মো. আখতারুজ্জামান খালেদা জিয়াকে ৫বছরের কারাদণ্ড দেন।