কুয়েতে আকামা স্বয়ংক্রিয় নবায়নের মেয়াদ শেষে অনেক প্রবাসী বাংলাদেশি ডিসেম্বর থেকে আকামাহীন হয়ে পড়ার আশঙ্কা করছেন দেশটিতে বসবাসরত জ্যেষ্ঠ প্রবাসীরা।
তাদের মতে, যেসব কারণে অনেক প্রবাসীদের আকামা নবায়নের সম্ভাবনা খুবই ক্ষীণ। এর উল্লেখযোগ্য কারণ গুলো হচ্ছে। কিছু সংখ্যক কোম্পানি সরকারি যথা নিয়মানুসারে নির্ধারিত কর্ম প্রক্রিয়া সম্পন্নে গাফলতি করায় তথাকথিত কোম্পানি গুলোর লাইসেন্স নবায়নে নানান জটিলতা দেখা দিয়েছে।
যদিও পূর্বে স্থানীয় একটি দৈনিক পত্রিকায় দেশটির সরকারি নীতিনির্ধারকদের বরাত দিয়ে এ সংক্রান্ত একটি খবর প্রকাশ করেছিল যে, প্রায় ৪’শ কোম্পানির লাইসেন্স বাজেয়াপ্ত হতে পারে, ওইসব কোম্পানিদের বিরুদ্ধে সুনির্দিষ্ট কিছু অভিযোগও এনেছিল সংশ্লিষ্টরা।
এছাড়াও আরো প্রায় ৩’হাজার কোম্পানির বিরুদ্ধে সুনির্দিষ্ট কিছু অভিযোগ এর কথা উল্লেখ করা হয় ওই রিপোর্টে।
অন্যদিকে, ‘আকুদ হুকুমা’ মিনিষ্ট্রি প্রজেক্ট এর ভিসা গুলো মিনিষ্ট্রি প্রজেক্ট এর বাইরে অন্য কোথাও ট্রান্সফার এর সুযোগ নেই। যদিও আগে সেই সুযোগ ছিল।
উপরোল্লিখিত অভিযুক্ত কোম্পানি গুলোতে সিংহভাগ প্রবাসীরা বাংলাদেশি নাগরিক। অতএব, স্পষ্টতই আকামা হীন হওয়ার আশঙ্কায় রয়েছেন প্রবাসী বাংলাদেশিরা।
তাছাড়া বিশ্বজুড়ে বৈশ্বিক মহামারির কারণে ব্যবসা-বাণিজ্যে এক ধরনের স্থবিরতা দেখা দিয়েছে, ফলে অনেক ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান কর্মী ছাঁটাইয়ের কথা ভাবছে।
আ হ জুবেদ
সম্পাদক,অগ্রদৃষ্টি