মোঃবিলাল উদ্দিন,বিশেষ প্রতিনিধিঃ মধ্যপ্রাচ্যের তেল সমৃদ্ধ দেশ কুয়েতে ইদানীং প্রবাসী বাংলাদেশীদের মৃত্যুর হার যেভাবে বেড়েছে তা গত বছরের চেয়ে দ্বিগুণ আর বেশির ভাগ মৃত্যুই হচ্ছে হৃদরোগ ও মানসিক চাপে।
কারণ হিসেবে বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, ৭/৮ লক্ষ টাকা খরচ করে কুয়েতে আসা, চাকুরী নেই, ভিসা জটিলতা, আকামা বা পরিচয় পত্রবিহীন পুলিশের গ্রেফতার আতঙ্ক, দালালদের দৌরাত্ম্য, ঋণের বোঝা, ভিটেমাটি বিক্রি করে আসা সহ নানাবিধ সমস্যা।
এদিকে গত ২১ এপ্রিল ২০১৮ইং রোজ শনিবার রাতে কুয়েতের ওয়াফরা নামক এলাকায় এলাইছ উদ্দিন(৪২) এক প্রবাসী বাংলাদেশির মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে।
জানা গেছে, প্রতিদিনের মত নিহত এলাইছ দৈনন্দিন কাজ শেষে রাতের খাবার খেয়ে নিজ কক্ষে ঘুমিয়ে পড়েন, কিন্তু ভোরে এলাইছ উদ্দিন আর ডিউটিতে না আসায় অন্যান্য সহপাঠীরা তার রুমে গেলে তালাবদ্ধ অবস্থায় দেখতে পান।
পরে পুলিশকে খবর দিলে, পুলিশ এসে বাসার তালা ভেঙ্গে মৃত্যু অবস্থায় এলাইছের লাশ উদ্ধার করে নিয়ে যায়।
বর্তমানে নিহতের লাশ স্থানীয় ফরওয়ানীয়া হাসপাতালের মর্গে রয়েছে বলে জানা গেছে।
অনেকের ধারণা এলাইছ হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু বরণ করেছেন। নিহত এলাইছ উদ্দিন মৌলভীবাজার জেলার বড়লেখা উপজেলার পাকশাইল গ্রামের মৃত্যু তছির মিয়ার ছেলে।
নিহতের নিকট আত্মীয় কুয়েত প্রবাসী ব্যবসায়ী মোঃ মোস্তফা উদ্দিন আমাদের এ প্রতিবেদককে টেলিফোনে জানিয়েছেন, নিহত এলাইছ উদ্দিন ১৯৯২ সাল থেকে কুয়েতের ওয়াফরা নামক এলাকায় কাজ করতেন।
তিনি আরো জানান, সকল আইনি প্রক্রিয়া শেষে নিহতের লাশ দ্রুত দেশে পাঠানো হবে।