বিশেষ প্রতিনিধিঃ অর্থ পাচার এবং সন্ত্রাসবাদে অর্থায়ন প্রতিরোধের জন্য নিয়ন্ত্রক সংস্থার কঠোর নীতির অংশ হিসেবে কুয়েতের ব্যাংকগুলো ‘ওয়ামড’ (Wamd) এবং ‘লিংকস’ (Links) পরিষেবার মাধ্যমে হওয়া আর্থিক লেনদেনের উপর নজরদারি বহুলাংশে বাড়িয়েছে।
ব্যাংকিং কর্মকর্তারা এখন স্থানীয় ও প্রবাসী গ্রাহকের ব্যক্তিগত অ্যাকাউন্টে জমা হওয়া যেকোনো উল্লেখযোগ্য অঙ্কের অর্থ নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করছেন। এমনকি একক লেনদেন হলেও, যদি তা গ্রাহকের ঘোষিত আয়ের সাথে অসামঞ্জস্যপূর্ণ হয়, তবে ব্যাংক কর্তৃপক্ষ সেটির উৎস জানতে চাইছেন।
জানা গেছে, বাণিজ্যিক লেনদেন ব্যক্তিগত অ্যাকাউন্ট ব্যবহার করে করা হচ্ছে এমন ঘটনা বেড়ে যাওয়ায় কর্তৃপক্ষ এই নজরদারি জোরদার করেছে। সূত্রের খবর অনুযায়ী, যদি কোনো ট্রান্সফারের পরিমাণ ব্যাংকের ‘নো ইয়োর কাস্টমার’ (KYC) তথ্যে রেকর্ড করা আয়ের স্তরকে উল্লেখযোগ্যভাবে ছাড়িয়ে যায়, তবে সংশ্লিষ্ট অ্যাকাউন্টধারীকে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদের মুখোমুখি হতে হচ্ছে।
যদি গ্রাহক অর্থের উৎস সম্পর্কে সন্তোষজনক ব্যাখ্যা দিতে ব্যর্থ হন, তবে বিষয়টি ফিনান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিটের (FIU) কাছে পাঠানো হচ্ছে। ব্যাংকগুলো স্পষ্টভাবে জানিয়েছে যে ব্যক্তিগত অ্যাকাউন্ট কোনোভাবেই কর্পোরেট বা ব্যবসায়িক লেনদেনের জন্য ব্যবহার করা উচিত নয়।
ইতিমধ্যে এমন বেশ কিছু ব্যক্তির বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু হয়েছে যাদের আর্থিক লেনদেন তাদের ঘোষিত আয়ের চেয়ে বেশি। এসব ব্যক্তিকে তাদের ব্যক্তিগত অ্যাকাউন্ট ব্যবসায়িক লেনদেনের জন্য ব্যবহার না করার বিষয়ে একটি লিখিত অঙ্গীকারনামায় স্বাক্ষর করতে হয়েছে। এই পদক্ষেপ কুয়েতের আর্থিক ব্যবস্থায় স্বচ্ছতা ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ বলে মনে করা হচ্ছে।











