বিশেষ প্রতিনিধি- কুয়েতের সড়কগুলোতে এখন কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা চালিত অত্যাধুনিক ক্যামেরার নজরদারি শুরু হয়েছে। দেশটির স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ট্রাফিক ও অপারেশনস সেক্টরের এই নতুন উদ্যোগের ফলে চালকরা আর ট্রাফিক আইন লঙ্ঘন করে পার পাবেন না। বিশেষ করে মোবাইল ফোন ব্যবহার এবং সিট বেল্ট না পরার মতো গুরুত্বপূর্ণ ট্রাফিক অপরাধগুলো এই নতুন এআই ক্যামেরার মাধ্যমে স্বয়ংক্রিয়ভাবে শনাক্ত করা হচ্ছে।
সড়ক দুর্ঘটনা কমিয়ে আনতে এবং ট্রাফিকে শৃঙ্খলা ফেরাতে কুয়েত সরকার আধুনিক প্রযুক্তির ওপর নির্ভর করছে। দেশজুড়ে হাইওয়ে এবং প্রধান সংযোগস্থলগুলোতে প্রায় ২৫২টি এআই-ক্ষমতা সম্পন্ন ক্যামেরা স্থাপন করা হয়েছে। এই ক্যামেরাগুলো দিনের আলো বা রাতের অন্ধকার—যেকোনো পরিস্থিতিতে উচ্চ-রেজোলিউশনের ছবি তুলতে সক্ষম।
ক্যামেরাগুলো অত্যাধুনিক এআই সফটওয়্যার ব্যবহার করে চালক ও সামনের সিটের যাত্রীর আচরণ বিশ্লেষণ করে। সিট বেল্ট না পরা বা গাড়ি চালানোর সময় মোবাইল ফোন ব্যবহার করলেই সঙ্গে সঙ্গে সেই ছবি ক্যামেরাবন্দী হয়ে যায় এবং আইন প্রয়োগকারী সংস্থার কাছে পর্যালোচনার জন্য পাঠানো হয়।
এই স্মার্ট ক্যামেরাগুলির কার্যকারিতা ইতোমধ্যে প্রমাণিত হয়েছে। নিরাপত্তা সূত্রের খবর অনুযায়ী, এই ব্যবস্থা চালু হওয়ার মাত্র ২০ দিনের মধ্যে মোবাইল ফোন ব্যবহার ও সিট বেল্ট না পরার অভিযোগে ৪০,০০০-এরও বেশি ট্রাফিক আইন লঙ্ঘনের ঘটনা রেকর্ড করা হয়েছে।
স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় স্পষ্ট জানিয়েছে, এই উদ্যোগের প্রধান লক্ষ্য জরিমানা বাড়ানো নয়, বরং সড়ক ব্যবহারকারীদের মধ্যে ট্রাফিক আইন মেনে চলার প্রবণতা তৈরি করা এবং বেপরোয়া ড্রাইভিং-এর কারণে হওয়া ‘রাস্তার যুদ্ধ’ বন্ধ করা। নতুন এই প্রযুক্তির মাধ্যমে ট্রাফিক আইন লঙ্ঘনের হার ২৫% পর্যন্ত কমেছে বলেও জানা গেছে।
নতুন এআই ক্যামেরার কারণে ট্রাফিক নিয়মের প্রতি মানুষের আস্থা বাড়ছে এবং সড়কে শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনার ক্ষেত্রে এটি একটি বড় সাফল্য হিসেবে দেখা হচ্ছে। কর্তৃপক্ষ গাড়িচালকদের সকল নিয়ম মেনে চলতে এবং সড়ক সুরক্ষার বিষয়ে সচেতন হতে আহ্বান জানিয়েছে।











