
কুয়েতে পরিবেশ আইন লঙ্ঘনের বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ নিয়েছে দেশটির পরিবেশ পুলিশ। সম্প্রতি যত্রতত্র আবর্জনা ফেলার ঘটনা বৃদ্ধি পাওয়ায় কর্তৃপক্ষ এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
স্থানীয় মন্ত্রণালয়ের ঘোষণা অনুযায়ী, রাস্তাঘাট, সৈকত, বা যেকোনো জনসমাগমের স্থানে বর্জ্য ফেললে প্রবাসীদের জন্য অপেক্ষা করছে তাৎক্ষণিক নির্বাসন। অন্যদিকে, কুয়েতি নাগরিকদের ক্ষেত্রে অপরাধের মাত্রা ও গুরুত্ব অনুযায়ী জেল বা জরিমানা হতে পারে।
কর্তৃপক্ষ পরিবেশগত অপরাধের ক্ষেত্রে ‘জিরো টলারেন্স’ নীতি গ্রহণ করেছে।
স্থানীয় ইংরেজি দৈনিক আরব টাইমস এর অনলাইন সংস্করণে এই সংক্রান্ত প্রতিবেদন প্রকাশ করা হয়েছে। এতে উল্লেখ করা হয় যে, পরিবেশ পুলিশ গত ছয় মাসে ৪,৮৫৬টি পরিবেশগত অপরাধের ঘটনা নথিভুক্ত করেছে, যার মধ্যে ১,৩৩২টি লঘু অপরাধ। এই বছরের প্রথমার্ধেই ২,১৫১টি আইন লঙ্ঘনের ঘটনা রেকর্ড করা হয়। বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই পর্যটন, মরুভূমি এবং জনাকীর্ণ এলাকায় অবৈধভাবে আবর্জনা ফেলার অভিযোগ পাওয়া গেছে।
কর্তৃপক্ষ নিশ্চিত করেছে যে যত্রতত্র বর্জ্য নিক্ষেপ বন্ধ করতে তারা মাঠ পরিদর্শন ও টহল জোরদার করেছে।
এছাড়াও পরিবেশ অধিদপ্তর এবং কুয়েত পৌরসভার সঙ্গে সমন্বয় করে একটি ব্যাপক পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করছে।
কর্তৃপক্ষ আরও সতর্ক করে বলেছে, রাস্তা, সমুদ্র সৈকত বা জনস্থানে আবর্জনা ফেলা কিংবা মরুভূমিতে সরাসরি আগুন জ্বালানোর মতো প্রকৃতিতে ক্ষতিকর এমন যেকোনো কার্যকলাপের জন্য কঠোর শাস্তি নিশ্চিত করা হবে।
“কুয়েতের আইন-কানুন ও নিয়মের প্রতি প্রবাসী বাংলাদেশীরা যেনো শ্রদ্ধাশীল হোন” উল্লেখ করে বাংলাদেশ প্রেসক্লাব কুয়েতের সভাপতি মঈন উদ্দিন সরকার সুমন বলেন, কুয়েতের পরিবেশবাদী প্রশাসন বর্তমানে কঠোর অভিযানে নেমেছে, কোথাও অবৈধ কাজের সঙ্গে কাউকে জড়িত দেখলেই প্রবাসীদের তাদের নিজ দেশে পাঠিয়ে দিচ্ছে।
তিনি বলেন, মাঝেমধ্যে প্রবাসী বাংলাদেশীরা বিভিন্ন প্লাটফর্ম থেকে সমুদ্র সৈকতে পরিচ্ছন্নতা অভিযানে অংশ নেন, এটি নিঃসন্দেহে প্রশংসনীয় কাজ। এতে করে বিদেশের মাটিতে দেশ-জাতির মানোন্নয়নে বড় ধরনের ভূমিকা রাখছে।