ডেস্ক নিউজ: যুক্তরাষ্ট্র থেকে উৎক্ষেপিত বাংলাদেশের প্রথম কৃত্রিম উপগ্রহ বঙ্গবন্ধু-১ থেকে প্রাথমিক সঙ্কেত পাওয়ার কথা জানিয়েছে গাজীপুর গ্রাউন্ড স্টেশন।
গাজীপুর গ্রাউন্ড স্টেশনের স্যাটেলাইট অপারেশন প্রকৌশলী তাজুল ইসলাম শনিবার বিকালে বলেন, “উৎক্ষেপণের এক ঘণ্টা ১০ মিনিট পর বঙ্গবন্ধু-১ স্যাটেলাইট থেকে গাজীপুর গ্রাউন্ড স্টেশন প্রাথমিক সিগন্যাল পেয়েছে।”
তিনি বলেন, “৩৬ হাজার কিলোমিটার পথ পাড়ি দিয়ে এটা জিওস্টেশনারিতে পৌঁছানোর পর পৃথিবীকে প্রদক্ষিণ করছে এমন অবস্থায় আমরা সিগন্যাল পাচ্ছি। সেখান থেকে ঘুরতে ঘুরতে স্যাটেলাইটটি নির্দিষ্ট অরবিটের দিকে যাচ্ছে এবং কাঙ্ক্ষিত অরবিটে পৌঁছাতে সাত থেকে নয় দিন সময় লেগে যাবে।
“এখন পর্যন্ত কোনো সমস্যা নেই, স্যাটেলাইটটি স্বাভাবিক গতিতেই যাচ্ছে।”
বাংলাদেশ সময় শনিবার রাত ২টা ১৪ মিনিটে স্পেসএক্স এর ফ্যালকন-৯ রকেটের নতুন সংস্করণ ব্লক ফাইভ ফ্লোরিডার কেনেডি স্পেস সেন্টারের লঞ্চ প্যাড থেকে বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইটকে সঙ্গে নিয়ে রওনা হয় মহাকাশের পথে। মোটামুটি আধা ঘণ্টার মাথায় বঙ্গবন্ধু-১ পৌঁছে যায় জিওস্টেশনারি ট্রান্সফার অরবিটে।
রকেট থেকে উন্মুক্ত হওয়ার পর যুক্তরাষ্ট্র, ইতালি এবং দক্ষিণ কোরিয়ার তিনটি গ্রাউন্ড স্টেশন থেকে বঙ্গবন্ধু-১ এর নিয়ন্ত্রণ নেওয়ার কথা। সব মিলিয়ে ৩৬ হাজার কিলোমিটার পাড়ি দিয়ে মহাকাশের ১১৯.১ পূর্ব দ্রাঘিমাংশে নিজস্ব অরবিটাল স্লটে স্থাপিত হবে এই কৃত্রিম উপগ্রহ।
তবে অরবিটাল স্লটে স্যাটেলাইটকে বসিয়ে কাজ শুরু করতে সময় লাগবে প্রায় দুই মাস। তখন গাজীপুরের জয়দেবপুর আর রাঙ্গামাটির বেতবুনিয়ার গ্রাউন্ড স্টেশন থেকে এর নিয়ন্ত্রণ করা যাবে।
প্রকৌশলী তাজুল ইসলাম বলেন, এজন্য তাদের সব ধরনের প্রস্তুতি রয়েছে।
তিনি বলেন, “দুই বছরে গাজীপুরের তেলিপাড়ায় গ্রাউন্ড স্টেশনটি প্রস্তুত করা হয়েছে। এটি নিয়ন্ত্রণের জন্য ৩২ সদস্যের একটি দলকে প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছে।”
সূত্র: বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম