ডেস্ক নিউজ: বাংলার আদিগন্ত মাঠ জুড়ে এখন হলুদে-সবুজে একাকার। নয়নাভিরাম অপরূপ প্রকৃতি। সোনালি ধানের প্রাচুর্য।
আনন্দধারায় ভাসছে কৃষকের মন-প্রাণ। বাড়ির উঠোন ভরে উঠবে নতুন ধানের মৌ মৌ গন্ধে। এসেছে অগ্রহায়ণ। হিম হিম হেমন্ত দিন। হেমন্তের প্রাণ নবান্ন আজ। বাংলার ঘরে ঘরে পালিত হচ্ছে নবান্ন উৎসব।
নবান্ন মানে নতুন অন্ন। নতুন ফসল ঘরে তোলা উপলক্ষে বাংলার কৃষকরা এই উৎসব পালন করে থাকেন।
অগ্রহায়ণের প্রথম প্রহরে গ্রামবাংলায় নতুন ধান ঘরে তোলার আনন্দ নাগরিক জীবনে ছড়িয়ে দিতেই পালিত হয় এ উৎসবটি।
জাতীয় নবান্ন উৎসব উদ্যাপন পর্ষদ এবার এ উৎসবের আয়োজন করেছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলার বকুলতলায় ও ধানমন্ডি রবীন্দ্র সরোবর মুক্তমঞ্চে।
‘এসো মিলি সবে নবান্নের উৎসবে’ স্লোগানকে ধারণ করে বুধবার সকাল ৭টা ১ মিনিটে বংশিবাদক গাজী হাকিমের বংশিবাদনের মধ্য দিয়ে চারুকলার বকুলতলায় অনুষ্ঠানের সূচনা হয়।
উৎসবে নৃত্য, সংগীত, আবৃত্তি, নবান্ন কথন, ঢাক-ঢোলের বাদন ও যন্ত্রসংগীত পরিবেশন করা হয়। সকাল ৯টায় বকুলতলা থেকে নবান্ন শোভাযাত্রা বের করা হয়। বিকেলে রয়েছে বরীন্দ্র সরোবর মুক্তমঞ্চে পটগান, মহুয়ার পালা, লাঠি খেলা ও সংগীত।
উৎসবে রয়েছে সংগীত, নৃত্য, আবৃত্তি, মানিকগঞ্জের চানমিয়ার দলের লাঠিখেলা, নড়াইলের নিখিল চন্দ্রের দলের পটগান, নেত্রকোনার দিলু বয়াতির দলের মহুয়ার পালা, খুলনা ধামাইল, নবান্ন শোভাযাত্রা, আদিবাসী পরিবেশনাসহ বিভিন্ন পরিবেশনা। এ ছাড়া থাকবে ঢাক ঢোলের বাদন আর মুড়ি-মুড়কি, বাতাসা ও পিঠার আয়োজন। এটিই বাঙালির চিরাচরিত প্রথা।