অপূর্ব লাল সরকার, আগৈলঝাড়া (বরিশাল) থেকে : বরিশালের আগৈলঝাড়ায় অসহায় ও দু:স্থ মহিলা সদস্যদের জমানো অর্ধকোটি টাকা নিয়ে চ্যারিটি ফাউন্ডেশন নামে কথিত সমিতির কর্মকর্তারা পালিয়ে গেছে। স য়ের টাকা ফেরত পেতে শুক্রবার বিকেলে প্রতিষ্ঠানের সামনে সমিতির শতাধিক মহিলা সদস্য বিক্ষোভ ও ঝাড়– মিছিল করেছে। ওই সংগঠনের কর্মরত ও স য় জমানো বিক্ষুব্ধ সদস্য অঞ্জনা বৈদ্য, অমেলা পান্ডে, পুতুল সরকার, সঙ্গীতা বালা, শ্রীমতি বালা প্রমুখ জানান, স্থানীয় অসহায় ও স্বল্প আয়ের নারীদের ভাগ্যোন্নয়নের জন্য ১৯৯৪ সালে আগৈলঝাড়ার বাকাল গ্রামের বিজয় বাড়ৈ ‘চ্যারিটি ফাউন্ডেশন’ নামে একটি প্রতিষ্ঠান শুরু করেন। ২০০১ সাল থেকে দু:স্থ নারীদের হস্তশিল্প কার্যক্রমের মাধ্যমে এর যাত্রা শুরু হয়। শুরু থেকে কর্মজীবি মহিলাদের তৈরি হস্তশিল্প বিক্রির মজুরি, লভ্যাংশ ও স য় জমাদানের মাধ্যমে এর কার্যক্রম চলে আসছিল। এতে কর্মজীবি ও সদস্য সংখ্যা দাঁড়ায় দুই শতাধিক। এসব নারী সদস্য মাসিক মজুরির ভিত্তিতে বিভিন্ন ধরণের হস্তশিল্প তৈরির কাজ করে তাদের শ্রমের মজুরি ও স য় জমা করতেন। সদস্যরা অভিযোগে আরও বলেন, শুরু থেকেই সংগঠনটি শ্রমজীবি মহিলাদের সঙ্গে প্রতারণা করে আসছিল। কর্মকর্তারা শ্রমজীবি মহিলাদের বেতন সম্পূর্ণ পরিশোধ না করে পরের মাসে দেয়ার কথা বলে অর্ধেক টাকা কেটে রাখতেন। সম্প্রতি কথিত প্রতিষ্ঠাতা বিজয় বাড়ৈ সংগঠনের জমাকৃত প্রায় অর্ধকোটি টাকা নিয়ে পালিয়ে যান। পরে বিজয় স্থানীয় শিপন পান্ডেকে ফোনে ওই প্রতিষ্ঠানের দেখভালের দায়িত্ব প্রদান করেন। শিপন প্রতিষ্ঠানের সম্পত্তি দেখভাল করার সময় সাবেক ইউপি সদস্য পুলিন বাড়ৈ তার কাছ থেকে জোর করে প্রতিষ্ঠানের চাবি নিয়ে মূল্যবান মালামাল ও বিভিন্ন প্রজাতির গাছ বিক্রি করে আসছিল। শুক্রবার প্রতিষ্ঠানের গাছ বিক্রি করার সংবাদ পেয়ে বিক্ষুব্ধ নারী শ্রমিক ও সমিতির সদস্যরা তাদের পাওনা আদায়ের জন্য বিক্ষোভ ও ঝাড়ু মিছিল করে। এব্যাপারে উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তা সুশান্ত বালা জানান, চ্যারিটি ফাউন্ডেশন নামের কোন প্রতিষ্ঠান তাদের দপ্তর থেকে রেজিস্ট্রেশন নেয়নি। তাদের কাজকর্ম সম্পর্কেও তিনি জানেন না। তারপরও সদস্যদের লিখিত অভিযোগ পেলে তদন্তপূর্বক ব্যবস্থা নেয়ার আশ্বাস প্রদান করেন।