বাংলাদেশ-ভারতের মধ্যে অপদখলীয় জমি ও অচিহ্নিত সীমানার ৩০টি স্ট্রিট ম্যাপে সই করেছে দু’পক্ষ।
বৃহস্পতিবার দুপুরে ঢাকার তেজগাঁওয়ে ভূমি জরিপ অধিদফতরে ভারতে নিযুক্ত বাংলাদেশের হাইকমিশনার সৈয়দ মেয়াজ্জেম আলী ও ঢাকায় ভারতীয় হাইকমিশনার পঙ্কজ সরণ এগুলোতে সই করেন।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন পররাষ্ট্র সচিব শহীদুল হক।
এ বিষয়ে ভূমি জরিপ অধিফতরের মহাপরিচালক আবদুল জলিল বলেন, দীর্ঘ সময় যৌথ জরিপের মাধ্যমে দু’দেশের অপদখলীয় ও অচিহ্নিত সীমানার ৩১টি স্ট্রিট ম্যাপ সইয়ের জন্য চূড়ান্ত করা হয়েছিল। এরমধ্যে বিলোনিয়া সেক্টরে ফেনীর মুহুরি নদী এলাকার সীমানা নির্ধারণ নিয়ে ভারতের আপত্তি থাকায় সেখানকার ম্যাপটি বাদ পড়ে।
বাকি ৩০টি স্ট্রিট ম্যাপ আজ আনুষ্ঠানিকভাবে চূড়ান্ত সই হলো। তিনি জানান, এরআগে এসব ম্যাপে সই করেন বাংলাদেশ ও ভারতের সংশ্লিষ্ট জেলা প্রশাসক এবং জেলা ম্যাজিস্ট্রেটরা।
ভূমি জরিপ অধিফতরের মহাপরিচালক জানান, যে ম্যাপটি নিয়ে ভারতের আপত্তি তা দু’দেশের সরকারের উচ্চ পর্যায় থেকে সমাধান করা হবে।
উল্লেখ্য, গত ২৩ ও ২৪ জুলাই ঢাকায় অনুষ্ঠিত বাংলাদেশ-ভারত যৌথ সীমান্ত কার্যকরী গ্রুপের বৈঠকে বাংলাদেশের সঙ্গে ভারতের পশ্চিমবঙ্গ, আসাম, মেঘালয় ও ত্রিপুরা জেলার সঙ্গে অপদখলীয় জমি এবং অচিহ্নিত সীমানার ৩০টি স্ট্রিট ম্যাপ সইয়ের জন্য চূড়ান্ত হয়।