ভোলা থেকে মোঃ ফজলে আলম।। ভোলায় সরকারি নিষেধাজ্ঞায় দুমাস মাছ ধরা বন্ধ থাকার পর মেঘনায়- তেতুলিয়া নদীতে মাছ শিকার শুরু হয়েছে। দীর্ঘ দুই মাস অলস সময় কাটানোর পর আজ থেকে নদীতে মাছ ধরতে নামছে ভোলার ৭টি উপজেলার লক্ষাধিক জেলে।
রবিবার মধ্যেরাত থেকে জেলেদের নদীতে মাছ ধরতে আর কোনো বাধা নেই। ইতোমধ্যে তারা জাল ও নৌকা মেরামতের কার শেষ করেছে।
নিষেধাজ্ঞায় উঠে যাওয়ায় স্বস্তি ফিরে এসেছে জেলে পরিবার গুলোতে। কর্তৃপক্ষের দাবি কর্মসূচি সফল হওয়ায় এবছর ইলিশের উৎপাদন বাড়বে। এছাড়াও জেলেদের নিরাপত্তা দিতেও প্রস্তুত রয়ছে বলে জানান।
ইলিশ অভয়াশ্রম কর্মসূচির আওতায় ভোলার মেঘনা নদীর ইলিশা পয়েন্ট থেকে চর পিয়াল পর্যন্ত ১০০ কিলোমিটার ও তেতুলিয়া নদীর ভেদুরিয়া পয়েন্ট থেকে চর রুস্তম পর্যন্ত ৯০ কি.মি এলাকায় মার্চ-এপ্রিল দুই মাস ইলিশসহ সব ধরনের মাছ শিকার নিষিদ্ধ করে সরকার। এ সময় ইলিশ মাছ ক্রয় বিক্রয়ও নিষিদ্ধ ছিল।
এ কারণে মাছ ধরে জীবিকা নির্বাহকারী অনেক জেলে পরিবার-পরিজন নিয়ে অভাব-অনটনে দিন কাটান বলে জানান। ফলে ভোলা লক্ষাধিক জেলে কর্মহীন হয়ে পরে। এই সময় সরকারিভাবে যে পরিমাণ চাল দেওয়া হয়েছে তা দিয়ে পরিবার চালানো সম্ভব ছিল না বলেও দাবি করেন জেলেরা।
দুই মাসের নিষেধাজ্ঞা শেষে জেলেরা উৎসবমুখর পরিবেশে বিনা বাধায় মাছ ধরা শুরু করেছে ভোর থেকেই। জেলার বিভিন্ন মাছের আড়ত গুলোতে ফিরেছে প্রানচাঞ্চল্য।ব্যস্তহয়ে উঠেছে জেলে ইলিশ ব্যবসায়ীরা।
জেলা মৎস্য কর্মকর্তা মো: রেজাউল কবির বলেন, জাটকা রক্ষায় অভয় আশ্রম কর্মসূচি চলাকালে নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে জাটকা শিকারের দায়ে ২০ জন জেলেকে বিভিন্ন মেয়াদে কারাদন্ড ও ৫লক্ষ টাকার জরিমানা আদায় করা হয়েছে। এছাড়াও ৭০০ কেজি মাছ ও ৮ লক্ষ ৫০ হাজার মিটার অবৈধ কারেন্ট জাল জব্দ করা হয়েছে।