গোলাপগঞ্জ প্রতিনিধি : গোলাপগঞ্জ পল্লী বিদ্যুতকে নিয়ে বিভ্রান্তিকর ও ভিত্তিহীন সংবাদ প্রচার করার অভিযোগে দৈনিক কাজিরবাজার প্রতিনিধি কাওসার হোসেনের বিরুদ্ধে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি আইনে মামলা দায়ের করা হয়েছে। অসৎ উদ্দেশ্যে হাসিল করতে ব্যর্থ হয়ে উপজেলার বাঘা ইউনিয়নের এখলাছপুর গ্রামের বিদ্যুতায়নের বিষয়টিকে নিয়ে সমাজের বিভিন্ন স্তরের সম্মানী ব্যক্তিদেরকে জড়িয়ে কুরুচিপূর্ণ ভাষা ব্যবহার করে বিভিন্ন অনলাইন পত্রিকা ও ফেসবুকে তা প্রচার করায় এখলাছপুর গ্রামের অধিবাসী বাঘা ইউনিয়ন মুক্তিযোদ্ধা সংসদ কমান্ডার বীর মুক্তিযোদ্ধা গিয়াস উদ্দিন বাদী হয়ে সিলেট সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট ১ম আদালতে মামলা করলে মাননীয় আদালত মামলাটির তদন্তের জন্য পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেষ্টিগেশন (পিবিআই)’কে নির্দেশ দেন। গোলাপগঞ্জ সিআর মামলা নং-২৫৩/২০১৬ এর এজহারে বাদী গিয়াস উদ্দিন অভিযোগ করেন কাওসার হোসেন বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন নাম ধারন করে সাংবাদিক পরিচয় দিয়ে মানুষজনকে হয়রানী করে আসছে। এখলাছপুর এলাকায় বিদ্যুৎ প্রাপ্তির লক্ষে তিনি সাধ্যমত চেষ্টা করেন অথচ আসামী কাওসার তাকে টাকা আত্মসাতকারীসহ বিভিন্ন দূর্নীতির অভিযোগের কথা উল্লেখের পাশাপাশি আপত্তিকর বক্তব্য তুলে ধরে ভূয়া লোকজনকে অভিযোগকারী সাজিয়ে নিজেই দূর্নীতির আশ্রয় নিয়েছেন। একজন মুক্তিযোদ্ধা ন্যায় বিচার প্রাপ্তির আশায় গত ৭ নভেম্বর সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ নজরুল ইসলামের আদালতে অভিযোগ দায়ের করলে মাননীয় আদালত এ ব্যাপারে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য পিআইবি’কে নির্দেশ দেন।
প্রাপ্ত সংবাদে জানা যায়, অসৎ উদ্দেশ্যে গোলাপগঞ্জ পৌর এলাকার ৭নং ওয়ার্ডের অধিবাসী খাসিখাল এলাকার মৃত আওলাদ আলীর পুত্র বিভিন্ন অলনাইনে ও তার ফেসবুক আইডি থেকে গোলাপগঞ্জের পল্লী বিদ্যুতের বিভিন্ন পর্যায়ের ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে মানহানীকর কথা প্রচার করছে। এক্ষেত্রে একজন বীর মুক্তিযোদ্ধাকে জড়িয়ে ভূয়া-ভিত্তিহীন বিষয় প্রচার করলে মুক্তিযোদ্ধা গিয়াস উদ্দিন বাদী হয়ে মামলা করেন। এর পূর্বেও কাওসারের বিরুদ্ধে মোটর সাইকেল চুরির অভিযোগে শাহপরান থানায় একটি মামলা হয়েছিল। গত ২০১২সালের ১এপ্রিল শাহজালাল উপশহরে বাসা নং- ২১, রোড নং-২২, ব্লক- ডি প্রতিশ্রুতি মাদকা শক্তি পুর্নবাসন অফিসের সম্মুখ থেকে সিলেট-ল-১১-৪৪০২ একটি পালসাল মোটর সাইকেল অন্য চাবি দ্বারা স্টার্ট দিয়ে চুরি করে নিয়ে যেতে চাইলে স্থানীয় জনগণ তাকে পাকড়াও করে গণধোলাই দেয়। এক পর্যায়ে পুলিশ এসে ঘটনাস্থল থেকে মোটর সাইকেল’সহ কাওসারকে আটক করে শাহপরান থানায় নিয়ে যায়। এ ব্যাপারে শাহপরান থানার এএসআই আব্দুর রাজ্জাক বাদী হয়ে শাহপরান থানায় মোটর সাইকেল চুর কাওসারের বিরুদ্ধে একটি মামলা দায়ের করেন (মামলা নং-০১/৫২, তাং- ০২.০৪.২০১২)। দীর্ঘ তদন্ত শেষে মামলা তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই হারুন মজুমদার গত ২০১২ সালের ৩০ এপ্রিল কাওসারকে একমাত্র আসামী করে আদালতে ৩৭৯/ ৪১১ দন্ড বিধিতে চার্জশীট প্রদান করেন। মামলাটি বর্তমানে বিচারাধীন রয়েছে। মোটর সাইকেল চুরির অপরাধ ঢাকতে এখন সে গোলাপগঞ্জের বিশিষ্ট নাগরিকদের বিরুদ্ধে ভূয়া ভিত্তিহীন বিভিন্ন বিষয় তুলে ধরে অনলাইনে অপপ্রচারে লিপ্ত রয়েছে। গোলাপগঞ্জ পল্লী বিদ্যুতের সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিবর্গকে জড়িয়ে ও একজন বীর মুক্তিযোদ্ধার বিরুদ্ধে মানহানীকর, কুরুচিপূর্ণ ভিত্তিহীন বিষয় উত্থাপন করে অপপ্রচার করায় কুখ্যাত মোটর সাইকেল চুর কাওসারের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করেছেন গোলাপগঞ্জ মুক্তিযোদ্ধা সংসদের কমান্ডার আলহাজ্ব শফিকুর রহমান, সাংগঠনিক কমান্ডার বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল মুহিত, গোলাপগঞ্জ পৌর মুক্তিযোদ্ধা সংসদ কমান্ডার মোহাম্মদ হানিফ আলীসহ বিশিষ্ট নাগরিকবৃন্দ।