সাভার প্রতিনিধি: সাভারের আশুলিয়ার বাড়ইপাড়া নন্দনপার্ক গেটের বিপরীতে পুলিশ চেক পোস্টে দুর্বৃত্তদের হামলায় শিল্প পুলিশ কনেস্টবল মুকুল হোসেন হত্যা ঘটনায় জড়িত সন্দেহে কালিয়াকৈর থানার ৭নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগ সভাপতি হরিহাতি এলাকার ওয়াজ উদ্দিনের ছেলে সুজন (২০)কে আটক করেছে আশুলিয়া থানা পুলিশ। গতকাল বৃহস্পতিবার ভোর রাতে সুজনকে আটক করা হয়। সে মাস্টার্সে পড়াশুনা করে এবং ছাত্রলীগের কর্মী বলে জনা যায়। এ সময় হত্যাকান্ডের ঘটনায় জড়িত থাকার সন্দেহে ওই এলাকার সরকার দলীয় সমর্থক ফারুক হোসেন, বারেক, কুদ্দুস ও সবুর মিয়াকেও আটক করে পুলিশ। এছাড়া বুধবার হত্যাকান্ডের পর ঘটনাস্থলের পাশ থেকে হোটেল কর্মচারী সোহেল (২২) ও শওকত (২৩) আটক করা হয়। এ ব্যাপারে গতকাল বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় সুজনের বাবা ওয়াজউদ্দিন আশুলিয়া থানা গেটের পাশে একটি চায়ের দোকানে বসে জানান, সুজন রাজধানীর শান্তা মারিয়া ইউনিভার্সিটিতে মাস্টার্সে লেখা-পড়া করে। সে ছাত্রলীগের কর্মী। অথচ পুলিশ হত্যা মামলায় সন্দেহজনক হিসেবে তার বাড়ির পাশ থেকে গভীর রাতে তার ছেলে সুজনকে আটক করেছে। প্রায় ১৬ ঘন্টা অতিবাহিত হলেও তাকে ছাড়েনি পুলিশ। এ ঘটনায় তার ছেলে নির্দোষ বলেও তিনি দাবী করেন। এ বিষয়ে পুলিশের একটি সূত্র জানায়, পুলিশ হেফাজতে বেশ কয়েকজন রয়েছে। তাদেরকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্যে আনা হয়েছে। এদিকে বৃহস্পতিবার বেলা সাড়ে ৪টায় পুলিশ হত্যাকান্ডের
ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন ঢাকা রেঞ্জের ডিআইজি মাহফুজুল হক নুরুজ্জামান। এসময় সাংবাদিকদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, দেশে আইএস ও জঙ্গীর কোন অস্তিত্ব নেই। এ হত্যাকান্ড ঘটিয়েছে জামায়াত-শিবির।