Menu |||

বাঙালী আদি সংস্কৃতি ও অধুনা পহেলা বৈশাখের সংস্কৃতি

ইসলামে মালিক-শ্রমিকের পারস্পরিক অধিকারও কর্তব্য :একটি পর্যালোচনা

ধর্মীয় দর্শন ডেস্ক: বাঙ্গালী মুসলমানদের উপর সংস্কৃতিক আগ্রাসনের নিকৃষ্টতম নজীর হলো পহেলা বৈশাখের সংস্কৃতি। বর্ষবরণের নামে পালিত পহেলা বৈশাখের সকল আয়োজনের উৎপত্তি হলো মন্দির। পুজোর অবিকল অনুকরণ হয় তথাকথিত বাঙলা বর্ষবরণ অনুষ্ঠানে। আমি বাঙলা ভাষাভাষী হওয়ায় যেমন বাঙ্গালী, ইসলামের অনুসারী হিসেবে মুসলিমও। বাঙ্গালিত্ব টেকানোর সাথে কোন বিজাতীয় কালচার অনুকরণের কোন সম্পর্ক না থাকলেও মুসলমানিত্ব রক্ষার জন্য ভিন্নধর্মের ধর্মীয় আচার-অনুষ্ঠানের অনুকরণ না করা অপরিহার্য। নিন্মে বাঙ্গলা বর্ষবরণের নামে পহেলা বৈশাখের সংস্কৃতি বর্জনের কিছু অতি গুরুততিপূর্ণ কারণ উল্লেখ করা হলো।

প্রথম কারণ হলো তথাকথিত বাঙ্গালী চেতনার নামে প্রচারিত পহেলা বৈশাখের সংস্কৃতির আগাগোড়া হিন্দু ধর্মের আচার অনুষ্ঠানের নকল বা অনুকরণ। যেমন আশ্বিনে রান্না করে কার্তিকে খাওয়ার আদলে চৈত্রের শেষ দিনের রান্না পহেলা বৈশাখে পান্তা করে খাওয়া, বিভিন্ন হিংস্র জীব-জন্তুর পুজার আদলে সেগুলোর কার্টুন ও মুর্তি নির্মান করে রেলি বের করা ও আমোদ-ফুর্তি করা, সিঁদুরের আদলে লালটিপ ধারণ করা, হিন্দু রমনীদের পুজার আদলে সাদা সাড়ি পরে বের হওয়া, পুজার অন্যতম আইটেম ঢোল-তবলা বাজানো ইত্যাদি। অথচ রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন- যে ব্যক্তি কোন ধর্মের মানুষের (ধর্মীয় আচারের) অনুকরণ বা স্বাদৃশ্য গ্রহণ করবে, সে তাদের অন্তর্ভুক্ত হবে।

দ্বিতীয় কারণ হলো উল্কি অঙ্কন। নাসাঈর বর্ণনা মতে রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন- উল্কি অঙ্কনকারিনী ও যার গায়ে অঙ্কন করা হয়- উভয়ের প্রতি আল্লাহর লা’নত বর্ষণ হয়। তাছাড়া এতে আল্লাহর সৃষ্টির পরিবর্তন করা হয়, যা কুরআনের নির্দেশনা মতে হারাম। চিকিৎসা বিজ্ঞানীদের মতেও উল্কি অঙ্কন ত্বকের জন্য মারাত্মক ক্ষতিকর। আর ইচ্ছাকৃত স্বাস্থহানী করাও ইসলামে নিষিদ্ধ।

তৃতীয় কারণ হলো গান-বাদ্য। গান ও ঢোল তবলা ছাড়া পহেলা বৈশাখ হয় না। আর রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন- গান মানুষের অন্তরে মোনাফেকি সৃষ্টি করে। তিনি আরো বলেছেন-আল্লাহ আমাকে প্রেরণ করেছেন বাদ্যযন্ত্র ভেঙ্গে ফেলার জন্য। তাছাড়া পুজোর অন্যতন উপাদান হলো গান ও ঢোল তবলা বাজানো।

চতুর্থ কারণ হলো নির্লজ্জতা ও অশ্লীলতা চর্চা। শালীন মেয়েরাও পহেলা বৈশাখের নামে অর্ধনগ্ন হয়ে বের হয়। গরমের দিনে তথাকথিত পহেলা বৈশাখের সাদা শাড়ি ঘামে ভিজে শরিরে বিভিন্ন অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ অত্যন্ত নোংরাভাবে প্রকাশিত হয়। তাছাড়াও নারী পুরুষ ঢলাঢলির মাধ্যমে ব্যভিচারের সবচে বড় ক্ষেত্র তৈরি হয় পহেলা বৈশাখের সংস্কৃতিতে। পান্তা-ইলিশের সাথে ঈদানিং যোগ হয়েছে, যুবতী মেয়েদের হাতে খেয়ে মনের নোংরা চাহিদা মেটানো। উল্কি অঙ্কনের ক্ষেত্রেও বিপরীত লিঙ্গের হাত ব্যবহার করা হয়।, যা প্রকাশ্য অশ্লীলতা ও নির্লজ্জতা।

পঞ্চম কারণ হলো পহেলা বৈশাখকে ঈদের মতো মর্যাদা দিয়ে নতুন পোষাক ও আকর্ষণীয় খাবার গ্রহণের কালচার সৃষ্টি করা। মুসলমানের জাতীয় জীবনে দু’টি উৎসব দেওয়া হয়েছে ইসলামে। হিন্দুদের বারো মাসে ১৩ পুজার আদলে কোন মুসলমানের জন্য পহেলা বৈশাখকে আরেকটি বাৎসরিক উৎসবের দিন ধার্য করা জায়েজ নেই। বিভিন্ন প্রচার মাধ্যমের অতি তোড়জোড় দেখে মনে হয়, তারা এটাকে এদেশের মানুষের প্রধাণ উৎসব হিসেবে দাঁড় করানোর চেষ্টা করে যাচ্ছে এবং আজকাল প্রকাশ্যে ঘোষণাও করছে।

ষষ্ট কারণ হলো মঙ্গল শোভাযাত্রা পহেলা বৈশাখের অন্যতম উপাদান। বাংলাদেশে বাঙলা নববর্ষ পালন করা নিয়ে “মঙ্গল শোভযাত্রা” মুষ্টিমেয় কিছু নাস্তিক, বামপন্থী, বস্তুবাদী শ্রেণীর লোকের আবিস্কার। “মঙ্গল শোভাযাত্রা”কে বলা হচ্ছে হাজার বছরের সংস্কৃতি। এখন ঢাকার চারুকলায় যে মঙ্গল শোভাযাত্রা হয়, এটার বয়েস মাত্র ২৪ বছর। ১৯৮৯ সাল থেকে এর শুরু । চারুকলায় নববর্ষ পালনের নামে রাস্তাঘাটে নারী পুরুষের নর্তন-কুর্দনকে বলা হচ্ছে আমাদের কালচার! আর মঙ্গল শোভাযাত্রা সরাসরি হিন্দুদের ধর্মীয় কাজের অন্যতম। কোন মুসলমানের জন্য অন্যকোন ধর্মের ধর্মীয় কাজে অংশগ্রহণ বা তার অনুকরণ জায়েজ নেই।

সপ্তম কারণ হলো জীবন থেকে একটি বছর খসে পড়ার মহামুল্যবান ক্ষণে আত্মজিজ্ঞাসা না করে ফুর্তি করে প্রকারান্তরে পরকালকে ভুলে বসা। আল্লাহকে না ডেকে মুশরিকদের মতো হাস্যকরভাবে বৈশাখকে ডাকতে থাকা। যার ফলে প্রতিবছরই বৈশাখ আগমন করে কাল বৈশাখের ঝড় নিয়ে।

অষ্টম কারণ হলো বাংলাভাষী হিন্দুদের জন্য বৈশাখের প্রথম দিনটি একটি মৌলিক ধর্মীয় উৎসবের দিন। বাংলা অফিসিয়াল ক্যালেন্ডারের সাথে পঞ্চিকার হিসাব কিতাবের গন্ডগোলে বাংলাদেশে এটা এখন চলে গেছে ২ বৈশাখে। পুরোনো ঢাকায় ও পশ্চিম বাংলায় পঞ্চিকা দেখে এভাবেই পালন করা হয়। এর আগের দিন তারা পালন করে চৈত্র সংক্রান্তি। “পহেলা বৈশাখ” হলো ঘট পূজার দিন। অথচ রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন- যে ব্যক্তি কোন ধর্মের ধর্মীয় আচারের অনুকরণ বা স্বাদৃশ্য গ্রহণ করবে, সে তাদের অন্তর্ভুক্ত হবে।

মূলত: হিন্দুরা গনেশ পুজার সময় “মঙ্গল শোভাযাত্রা”র আয়োজন করে। আবার বড় কোনো কাজ যেমন মন্দির নির্মান বা বিগ্রহ স্থাপনের সময় দেবতার অনুগ্রহ লাভের আশায় মঙ্গল শোভাযাত্রার আয়োজন করে থাকে। নববর্ষ পালনের নামে “মঙ্গল শোভাযাত্রা”য় যেভাবে বিভিন্ন জানোয়ারের মুখোশ পরে আনন্দ উৎসব ও লাফালাফি করা হয়, এটা বাংলার সংস্কৃতি নয়। এসবকে বলা হচ্ছে বাঙ্গালী সংস্কৃতি! এই যদি হয় বাঙ্গালী সংস্কৃতি, তাহলে বাঙ্গালী মানেই কি হিন্দু! ঈমান ও ধর্ম নিয়ে যদি বাঁচতে হলে এ সব শিরকি অনুষ্ঠান থেকে দূরে থাকতেই হবে। এসব নিকৃষ্টতম হিন্দুয়ানী সংস্কৃতিক আগ্রাসনের বিরুদ্ধে আমাদের প্রতিবাদ করতেই হবে।

আল্লাহ তা’আলা আমাদেরকে সঠিক চিন্তা ও কাজের তাওফীক দান করুন। আমীন !!!

লেখকঃ
মোস্তফা কবীর সিদ্দিকী
সিনিয়র লেকচারার , ইসলামিক স্টাডিজ ডিপার্টমেন্ট,
সাউথইস্ট ইউনির্ভাসিটি।
ইমেইলঃ mostafakabir_seu@yahoo.com

অগ্রদৃষ্টি.কম // এমএসআই

Facebook Comments Box

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ



সর্বশেষ আপডেট



» কুয়েতে কুমিল্লা প্রবাসী সংগঠনের উদ্যোগে ইফতার ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত

» কুয়েত বিএনপির আলোচনা সভা ও ইফতার মাহফিল অনুষ্ঠিত

» কুয়েত প্রবাসী কমিউনিটি নেতা মো: আজাদুর রহমান আর নেই

» মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবসে অর্থ ও পরিকল্পনা উপ-কমিটির শ্রদ্ধা জ্ঞাপন

» কুয়েতে বাংলাদেশ দূতাবাসে গণহত্যা দিবস পালিত

» জালালাবাদ অ্যাসোসিয়েশন কুয়েতের ইফতার ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত

» বাংলাদেশ ফুটবল এসোসিয়েশন কুয়েতের নতুন কমিটি, সভাপতি মোরশেদ-সাধারণ সম্পাদক কোরবান

» প্রবাসী স্বজন ফাউন্ডেশনের আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত

» মৌলভীবাজারে ইউপি চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে অভিযোগ

» মিয়ানমার থেকে বাংলাদেশে পালিয়ে আসার সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৩২৭ জনে

Agrodristi Media Group

Advertising,Publishing & Distribution Co.

Editor in chief & Agrodristi Media Group’s Director. AH Jubed
Legal adviser. Advocate Musharrof Hussain Setu (Supreme Court,Dhaka)
Editor in chief Health Affairs Dr. Farhana Mobin (Square Hospital, Dhaka)
Social Welfare Editor: Rukshana Islam (Runa)

Head Office

UN Commercial Complex. 1st Floor
Office No.13, Hawally. KUWAIT
Phone. 00965 65535272
Email. agrodristi@gmail.com / agrodristitv@gmail.com

Desing & Developed BY PopularITLtd.Com
,

বাঙালী আদি সংস্কৃতি ও অধুনা পহেলা বৈশাখের সংস্কৃতি

ইসলামে মালিক-শ্রমিকের পারস্পরিক অধিকারও কর্তব্য :একটি পর্যালোচনা

ধর্মীয় দর্শন ডেস্ক: বাঙ্গালী মুসলমানদের উপর সংস্কৃতিক আগ্রাসনের নিকৃষ্টতম নজীর হলো পহেলা বৈশাখের সংস্কৃতি। বর্ষবরণের নামে পালিত পহেলা বৈশাখের সকল আয়োজনের উৎপত্তি হলো মন্দির। পুজোর অবিকল অনুকরণ হয় তথাকথিত বাঙলা বর্ষবরণ অনুষ্ঠানে। আমি বাঙলা ভাষাভাষী হওয়ায় যেমন বাঙ্গালী, ইসলামের অনুসারী হিসেবে মুসলিমও। বাঙ্গালিত্ব টেকানোর সাথে কোন বিজাতীয় কালচার অনুকরণের কোন সম্পর্ক না থাকলেও মুসলমানিত্ব রক্ষার জন্য ভিন্নধর্মের ধর্মীয় আচার-অনুষ্ঠানের অনুকরণ না করা অপরিহার্য। নিন্মে বাঙ্গলা বর্ষবরণের নামে পহেলা বৈশাখের সংস্কৃতি বর্জনের কিছু অতি গুরুততিপূর্ণ কারণ উল্লেখ করা হলো।

প্রথম কারণ হলো তথাকথিত বাঙ্গালী চেতনার নামে প্রচারিত পহেলা বৈশাখের সংস্কৃতির আগাগোড়া হিন্দু ধর্মের আচার অনুষ্ঠানের নকল বা অনুকরণ। যেমন আশ্বিনে রান্না করে কার্তিকে খাওয়ার আদলে চৈত্রের শেষ দিনের রান্না পহেলা বৈশাখে পান্তা করে খাওয়া, বিভিন্ন হিংস্র জীব-জন্তুর পুজার আদলে সেগুলোর কার্টুন ও মুর্তি নির্মান করে রেলি বের করা ও আমোদ-ফুর্তি করা, সিঁদুরের আদলে লালটিপ ধারণ করা, হিন্দু রমনীদের পুজার আদলে সাদা সাড়ি পরে বের হওয়া, পুজার অন্যতম আইটেম ঢোল-তবলা বাজানো ইত্যাদি। অথচ রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন- যে ব্যক্তি কোন ধর্মের মানুষের (ধর্মীয় আচারের) অনুকরণ বা স্বাদৃশ্য গ্রহণ করবে, সে তাদের অন্তর্ভুক্ত হবে।

দ্বিতীয় কারণ হলো উল্কি অঙ্কন। নাসাঈর বর্ণনা মতে রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন- উল্কি অঙ্কনকারিনী ও যার গায়ে অঙ্কন করা হয়- উভয়ের প্রতি আল্লাহর লা’নত বর্ষণ হয়। তাছাড়া এতে আল্লাহর সৃষ্টির পরিবর্তন করা হয়, যা কুরআনের নির্দেশনা মতে হারাম। চিকিৎসা বিজ্ঞানীদের মতেও উল্কি অঙ্কন ত্বকের জন্য মারাত্মক ক্ষতিকর। আর ইচ্ছাকৃত স্বাস্থহানী করাও ইসলামে নিষিদ্ধ।

তৃতীয় কারণ হলো গান-বাদ্য। গান ও ঢোল তবলা ছাড়া পহেলা বৈশাখ হয় না। আর রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন- গান মানুষের অন্তরে মোনাফেকি সৃষ্টি করে। তিনি আরো বলেছেন-আল্লাহ আমাকে প্রেরণ করেছেন বাদ্যযন্ত্র ভেঙ্গে ফেলার জন্য। তাছাড়া পুজোর অন্যতন উপাদান হলো গান ও ঢোল তবলা বাজানো।

চতুর্থ কারণ হলো নির্লজ্জতা ও অশ্লীলতা চর্চা। শালীন মেয়েরাও পহেলা বৈশাখের নামে অর্ধনগ্ন হয়ে বের হয়। গরমের দিনে তথাকথিত পহেলা বৈশাখের সাদা শাড়ি ঘামে ভিজে শরিরে বিভিন্ন অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ অত্যন্ত নোংরাভাবে প্রকাশিত হয়। তাছাড়াও নারী পুরুষ ঢলাঢলির মাধ্যমে ব্যভিচারের সবচে বড় ক্ষেত্র তৈরি হয় পহেলা বৈশাখের সংস্কৃতিতে। পান্তা-ইলিশের সাথে ঈদানিং যোগ হয়েছে, যুবতী মেয়েদের হাতে খেয়ে মনের নোংরা চাহিদা মেটানো। উল্কি অঙ্কনের ক্ষেত্রেও বিপরীত লিঙ্গের হাত ব্যবহার করা হয়।, যা প্রকাশ্য অশ্লীলতা ও নির্লজ্জতা।

পঞ্চম কারণ হলো পহেলা বৈশাখকে ঈদের মতো মর্যাদা দিয়ে নতুন পোষাক ও আকর্ষণীয় খাবার গ্রহণের কালচার সৃষ্টি করা। মুসলমানের জাতীয় জীবনে দু’টি উৎসব দেওয়া হয়েছে ইসলামে। হিন্দুদের বারো মাসে ১৩ পুজার আদলে কোন মুসলমানের জন্য পহেলা বৈশাখকে আরেকটি বাৎসরিক উৎসবের দিন ধার্য করা জায়েজ নেই। বিভিন্ন প্রচার মাধ্যমের অতি তোড়জোড় দেখে মনে হয়, তারা এটাকে এদেশের মানুষের প্রধাণ উৎসব হিসেবে দাঁড় করানোর চেষ্টা করে যাচ্ছে এবং আজকাল প্রকাশ্যে ঘোষণাও করছে।

ষষ্ট কারণ হলো মঙ্গল শোভাযাত্রা পহেলা বৈশাখের অন্যতম উপাদান। বাংলাদেশে বাঙলা নববর্ষ পালন করা নিয়ে “মঙ্গল শোভযাত্রা” মুষ্টিমেয় কিছু নাস্তিক, বামপন্থী, বস্তুবাদী শ্রেণীর লোকের আবিস্কার। “মঙ্গল শোভাযাত্রা”কে বলা হচ্ছে হাজার বছরের সংস্কৃতি। এখন ঢাকার চারুকলায় যে মঙ্গল শোভাযাত্রা হয়, এটার বয়েস মাত্র ২৪ বছর। ১৯৮৯ সাল থেকে এর শুরু । চারুকলায় নববর্ষ পালনের নামে রাস্তাঘাটে নারী পুরুষের নর্তন-কুর্দনকে বলা হচ্ছে আমাদের কালচার! আর মঙ্গল শোভাযাত্রা সরাসরি হিন্দুদের ধর্মীয় কাজের অন্যতম। কোন মুসলমানের জন্য অন্যকোন ধর্মের ধর্মীয় কাজে অংশগ্রহণ বা তার অনুকরণ জায়েজ নেই।

সপ্তম কারণ হলো জীবন থেকে একটি বছর খসে পড়ার মহামুল্যবান ক্ষণে আত্মজিজ্ঞাসা না করে ফুর্তি করে প্রকারান্তরে পরকালকে ভুলে বসা। আল্লাহকে না ডেকে মুশরিকদের মতো হাস্যকরভাবে বৈশাখকে ডাকতে থাকা। যার ফলে প্রতিবছরই বৈশাখ আগমন করে কাল বৈশাখের ঝড় নিয়ে।

অষ্টম কারণ হলো বাংলাভাষী হিন্দুদের জন্য বৈশাখের প্রথম দিনটি একটি মৌলিক ধর্মীয় উৎসবের দিন। বাংলা অফিসিয়াল ক্যালেন্ডারের সাথে পঞ্চিকার হিসাব কিতাবের গন্ডগোলে বাংলাদেশে এটা এখন চলে গেছে ২ বৈশাখে। পুরোনো ঢাকায় ও পশ্চিম বাংলায় পঞ্চিকা দেখে এভাবেই পালন করা হয়। এর আগের দিন তারা পালন করে চৈত্র সংক্রান্তি। “পহেলা বৈশাখ” হলো ঘট পূজার দিন। অথচ রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন- যে ব্যক্তি কোন ধর্মের ধর্মীয় আচারের অনুকরণ বা স্বাদৃশ্য গ্রহণ করবে, সে তাদের অন্তর্ভুক্ত হবে।

মূলত: হিন্দুরা গনেশ পুজার সময় “মঙ্গল শোভাযাত্রা”র আয়োজন করে। আবার বড় কোনো কাজ যেমন মন্দির নির্মান বা বিগ্রহ স্থাপনের সময় দেবতার অনুগ্রহ লাভের আশায় মঙ্গল শোভাযাত্রার আয়োজন করে থাকে। নববর্ষ পালনের নামে “মঙ্গল শোভাযাত্রা”য় যেভাবে বিভিন্ন জানোয়ারের মুখোশ পরে আনন্দ উৎসব ও লাফালাফি করা হয়, এটা বাংলার সংস্কৃতি নয়। এসবকে বলা হচ্ছে বাঙ্গালী সংস্কৃতি! এই যদি হয় বাঙ্গালী সংস্কৃতি, তাহলে বাঙ্গালী মানেই কি হিন্দু! ঈমান ও ধর্ম নিয়ে যদি বাঁচতে হলে এ সব শিরকি অনুষ্ঠান থেকে দূরে থাকতেই হবে। এসব নিকৃষ্টতম হিন্দুয়ানী সংস্কৃতিক আগ্রাসনের বিরুদ্ধে আমাদের প্রতিবাদ করতেই হবে।

আল্লাহ তা’আলা আমাদেরকে সঠিক চিন্তা ও কাজের তাওফীক দান করুন। আমীন !!!

লেখকঃ
মোস্তফা কবীর সিদ্দিকী
সিনিয়র লেকচারার , ইসলামিক স্টাডিজ ডিপার্টমেন্ট,
সাউথইস্ট ইউনির্ভাসিটি।
ইমেইলঃ mostafakabir_seu@yahoo.com

অগ্রদৃষ্টি.কম // এমএসআই

Facebook Comments Box


এই বিভাগের অন্যান্য সংবাদ



আজকের দিন-তারিখ

  • শুক্রবার (দুপুর ১২:২১)
  • ২৯শে মার্চ, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ
  • ১৮ই রমজান, ১৪৪৫ হিজরি
  • ১৫ই চৈত্র, ১৪৩০ বঙ্গাব্দ (বসন্তকাল)

Exchange Rate

Exchange Rate EUR: শুক্র, ২৯ মার্চ.

সর্বশেষ খবর



Agrodristi Media Group

Advertising,Publishing & Distribution Co.

Editor in chief & Agrodristi Media Group’s Director. AH Jubed
Legal adviser. Advocate Musharrof Hussain Setu (Supreme Court,Dhaka)
Editor in chief Health Affairs Dr. Farhana Mobin (Square Hospital, Dhaka)
Social Welfare Editor: Rukshana Islam (Runa)

Head Office

UN Commercial Complex. 1st Floor
Office No.13, Hawally. KUWAIT
Phone. 00965 65535272
Email. agrodristi@gmail.com / agrodristitv@gmail.com

Bangladesh Office

Director. Rumi Begum
Adviser. Advocate Koyes Ahmed
Desk Editor (Dhaka) Saiyedul Islam
44, Probal Housing (4th floor), Ring Road, Mohammadpur,
Dhaka-1207. Bangladesh
Contact: +8801733966556 / +8801920733632

Email Address

agrodristi@gmail.com, agrodristitv@gmail.com

Licence No.

MC- 00158/07      MC- 00032/13

Design & Devaloped BY Popular-IT.Com
error: দুঃখিত! অনুলিপি অনুমোদিত নয়।