বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর একটি দল ৩০ জন চিকিৎসক এবং ৭০ জন আইসিইউ সহকারী সমন্বিত কোভিড -১৯ এর বিরুদ্ধে লড়াইয়ে কুয়েতকে সমর্থন করে চলেছে। বিশ্বজুড়ে মহামারী করোনাভাইরাস ছড়িয়ে পড়ায় কুয়েতের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের পাশে দাঁড়াতে বাংলাদেশ সরকারের ইচ্ছার ইঙ্গিত হিসাবে এই দলটি কুয়েতে ১১ ই এপ্রিল, ২০২০ এ পৌঁছেছে। গত ছয় মাস ধরে, এই জরুরী মেডিকেল টিম কুয়েতের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের সহকর্মীদের সাথে সারাদেশের বিভিন্ন কভিড হাসপাতালে পৃথক পৃথক কেন্দ্রগুলিতে নিরলসভাবে চিকিৎসা সেবা দিয়া যাচ্ছে।
বাংলাদেশ তার নিজস্ব ঘরোয়া ঘাটতি সত্ত্বেও, কুয়েত সরকারের অনুরোধে মাত্র দুই সপ্তাহের মধ্যে চিকিত্সা সহায়তা প্রদানের ক্ষেত্রে অন্যতম শীর্ষস্থানীয় দেশ ছিল।
১৯৭১ সালে বাংলাদেশের স্বাধীনতার পর থেকে বাংলাদেশ এবং কুয়েত বিশেষ দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক তথা আঞ্চলিক ও বৈশ্বিক বিষয়গুলিতে সহযোগিতার পথ তৈরি হয়। পরবর্তীতে ১৯৯০ -৯১ উপসাগরীয় যুদ্ধ্বের সময়ে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর জোট বাহিনী হিসাবে অংশ নেওয়ার সাথে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক একটি নতুন উচ্চতায় পৌঁছেছিল।
সেই সম্পর্ক আরও জোরদার হয়েছিল দু’জন সম্মানিত মিলিটারির ঐকান্তিক প্রচেষ্টা, তার পাশাপাশি কুয়েত ও বাংলাদেশ সরকারের মধ্যকার বন্ধুত্বের দৃঢ়তার নিদর্শন।
সেসময় উদ্দেশ্য ছিল কুয়েতের মাটি থেকে বিস্তৃত ও ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা মাইন ও বিস্ফোরক উদ্ধার করে এ অঞ্চলটির ভূমিকে ঝুঁকি মুক্ত করা এবং ভ্রাতৃ প্রতীম কুয়েতের মানুষের অধিকার ও জানমালের নিরাপত্তা প্রতিষ্ঠা করা।
এদিকে বাংলাদেশ মিলিটারি কন্টিনজেন্ট কুয়েত সশস্ত্র বাহিনীর সাথে সমন্বয় করে একযোগে মেডিকেল, ইঞ্জিনিয়ারিং, যোগাযোগসহ ইত্যাদি ক্ষেত্রে অত্যন্ত দক্ষতার সহিত কুয়েত পুনর্গঠনের প্রয়াসে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে। বাংলাদেশ মিলিটারি কন্টিনজেন্টের প্রচেষ্টা আজ অবধি অব্যাহত রয়েছে, আর এটি সম্ভব হয়েছে উভয় দেশের মধ্যে সৌহার্দপূর্ণ ইতিবাচক সম্পর্ক বিদ্যমান থাকার সুবাদে।
আ হ জুবেদ
প্রধান সম্পাদক, অগ্রদৃষ্টি