ছাতকে কলেজ ক্যাম্পাসে দু’ছাত্রের হাতাহাতির ঘটনাকে কেন্দ্র করে বাড়ি ফেরার পথে রাস্তায় সহপাঠিদের নিয়ে একজন অপরজনকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে হত্যা করেছে। ঘটনাটি ঘটেছে সোমবার বেলা ১টায় জাউয়াবাজার ইউনিয়নের বড়কাপন পয়েন্টে। দু’জনই জাউয়াবাজার কলেজের আইএ ২য় বর্ষের ছাত্র। নিহত কলেজ ছাত্রের নাম আল-আমিন। সে দোয়ারাবাজার উপজেলার পান্ডারগাঁও ইউনিয়নের পলিরগাঁও গ্রামের কাঁচা মিয়ার পুত্র। ঘটনার পর ঘাতক আক্কাস আলীকে গণধোলাই দিয়ে পুলিশে সোপর্দ করেন এলাকাবাসী। তুচ্ছ বিষয়কে কেন্দ্র করে এঘটনা ঘটেছে বলে জানা গেছে। এটি হচ্ছে ১মাস ২২দিনের ব্যবধানে জাউয়া কলেজে ২য় নির্মম হত্যাকান্ডের ঘটনা। গত ২৫আগষ্ট একই একই কলেজের ছাত্র দক্ষিণ খুরমা ইউপির সেনপুর গ্রামের রইছ আলীর পুত্র রিমন আহমদকে দূর্বৃত্তরা প্রকাশ্য দিবালোকে কুপিয়ে হত্যা করে। পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, রোববার জাউয়া কলেজ ক্যাম্পাসে তুচ্ছ বিষয় নিয়ে আল-আমিনও আক্কাছ আলীর মধ্যে কথাকাটিও হাতাহাতির ঘটনা ঘটে। এতে সোমবার সকালে কলেজে এসে অধ্যক্ষ আব্দুল গাফ্ফারের কাছে আল-আমিনের বিরুদ্ধে বিচার প্রার্থী হয় আক্কাছ আলী। অধ্যক্ষ বিষয়টি নিষ্পত্তির পরও আল-আমিন কলেজ থেকে বাড়ি যাবার পথে বড়কাপন পয়েন্টে পৌছলে পূর্ব থেকে ওঁৎ পেতে থাকা ঘাতক আক্কাছ আলীর নেতৃত্বে তার সহযোগিরা ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে তাকে গুরুতর আহত করলে কৈতক হাসপাতালে নেয়ার পর ডাক্তার তাকে মৃত ঘোষনা করেন। এসময় ঘটনার সাথে জড়িত থাকার অভিযোগে জনতার হাতে আটক আক্কাছ আলীকে গণধোলাই দিয়ে পুলিশে সোপর্দ করা হয়। ঘাতক আক্কাছ আলীর বাড়ি ছাতকের চরমহল্লা ইউপির ছনুয়া গ্রামে। আল-আমিন কলেজের নিকবর্তী দেবেরগাঁও গ্রামে আত্মীয় বাড়ি থেকে লেখাপড়া করছে। এব্যাপারে অধ্যক্ষ আব্দুল গাফফার জানান, ঘটনাটি অত্যন্ত মর্মান্তিক। তুচ্ছ ঘটনাকে এ পর্যায়ে নিয়ে আসা সঠিক হয়নি। তবে তিনি জড়িতদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করেছেন। ছাতক থানার অফিসার্স ইনচার্জ আশেক সুজা মামুন ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, ঘাতক আক্কাছ নামের এক কলেজ ছাত্রকে আটক করা হয়েছে। তবে এলাকার পরিস্থিতি এখন শান্ত রয়েছে। পুলিশ ঘটনাস্থলে অবস্থান করছে বলেও তিনি জানান।