বিশেষ প্রতিনিধিঃ বাংলাদেশ আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবক লীগ কুয়েত এর উদ্যোগে ৪৭ তম মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উপলক্ষে আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়।
২৬ মার্চ ২০১৮ সোমবার রাত ৮টায় কুয়েত সিটির গুলশান হোটেলের হল রুমে অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় সভাপতিত্ব করেন আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবক লীগ কুয়েত এর সভাপতি মোহাম্মদ মাসুদ করিম।
আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবক লীগ কুয়েত এর সাধারণ সম্পাদক বেলাল উদ্দীন এর সঞ্চালনায় সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবক লীগ কুয়েত এর উপদেষ্টা আশরাক আলী ফেরদৌস।
বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন যথাক্রমে: আওয়ামী লীগ নেতা সৈয়দ মিজানুর রহমান, আওয়ামী যুবলীগ কুয়েত এর আহব্বায়ক ইমাম উদ্দীন বাদল, যুবলীগ নেতা মুরাদুজ্জামান চৌধুরী, আওয়ামী প্রজন্ম লীগ কুয়েতের সভাপতি মঈনুল আল ইসলাম, আমরা মুক্তিযোদ্ধার সন্তান কুয়েত কমাণ্ড এর সভাপতি দিদারুল আলম, ওসমানী স্মৃতি পরিষদ কুয়েত এর সভাপতি মুরাদুল হক চৌধুরী,সাধারণ সম্পাদক হোসেন মুরাদ চৌধুরী, উপদেষ্টা আজাদ মেম্বার, প্রবাসী সাহিত্য পরিষদ কুয়েত এর ভারপ্রাপ্ত সভাপতি আনিছুর রহমান মিলন, গ্রীন ক্রিসেন্ট সোসাইটি কুয়েত শাখার সভাপতি রায়হান উদ্দীন পোষ্ট মাষ্টার।
পবিত্র কোরআন থেকে তেলোয়াতের মধ্যদিয়ে অনুষ্ঠানের কার্যক্রম শুরু করা হয়। এর পর সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙ্গালী জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান সহ মহান মুক্তিযুদ্ধে আত্মদানকারী সকল শহীদদের স্মরণে এক মিনিট দাঁড়িয়ে নীরবতা পালন করা হয়। অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য প্রদান রাখেন বাংলাদেশ আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবক লীগ কুয়েত এর সাংগঠনিক সম্পাদক মোরশেদ আলম।
এরপর বক্তব্য রাখেন যথাক্রমে: আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবক লীগ কুয়েত এর সিনিয়র সহ- সভাপতি দিদারুল আলম, সহ- সভাপতি আবু তাহের, সাঈদুল হক খান, মোহাম্মদ ইউসুফ, ওমর ফারুক নাহিদ, সেলিম শাহ, সামিউল ইসলাম লালন, যুগ্ম- সাধারণ সম্পাদক সাহাদাত হোসেন, সাংগঠনিক সম্পাদক আশরাফুল আজম মহব্বত, জাকির হোসেন, প্রচার সম্পাদক মনির হোসেন সর্দার, দপ্তর সম্পাদক আবুল হোসেন রাশেদ, যুব ও ক্রীড়া সম্পাদক আবু তৈয়ব সুমন, তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক সাঈদুর রহমান সেন্টু এবং অনুষ্ঠানে উপস্থিত প্রধান অতিথি ও বিশেষ অতিথিবৃন্দ। বক্তারা সকলেই জাতির পিতার প্রতি শ্রদ্ধাজ্ঞাপন করে তারা স্বাধীনতার গুরুত্ব ও তাৎপর্য তুলে ধরেন তাদের বক্তব্যের মাধমে। বক্তারা বলেন ১৯৭১ সালের ২৬ মার্চ জাতির জনক ববঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান স্বাধীনতা ঘোষণা করেন। জাতির পিতার ডাকে বাঙ্গালী জাতি যার যা আছে তাই নিয়ে ঝাঁপিয়ে পড়ে মহান মুক্তিযুদ্ধে। নয়মাস রক্তক্ষয়ী যুদ্ধে ৩০ লক্ষ শহীদ আর দুই লক্ষ মা-বোনের সম্ভ্রমের বিনিময়ে বাঙ্গালী জাতি বিজয় ছিনিয়ে এনে বিশ্বের মানচত্রে জায়গা করে নেয়। আলোচনা সভা শেষে জাতির জনক সহ সকল শহীদের আত্মার মাগফিরাত কামনায় দোয়া করা হয়।