সোমবার সকালে দেশটির স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, আগের ২৪ ঘণ্টায় সেখানে তিন লাখ ৫২ হাজার ৯৯১ জন নতুন রোগী শনাক্ত হয়েছে।
এতে ভারতে শনাক্ত করোনাভাইরাস রোগীর মোট সংখ্যা এক কোটি ৭৩ লাখ ছাড়িয়ে গেছে।
একই সময় দেশটিতে করোনাভাইরাসজনিত জটিলতায় মৃত্যুর সংখ্যায়ও নতুন রেকর্ড হয়েছে, মারা গেছেন ২৮১২ জন। এতে মৃতের মোট সংখ্যা এক লাখ ৯৫ হাজার ১২৩ জনে দাঁড়িয়েছে বলে দেশটির স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের তথ্যের বরাতে জানিয়েছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স।
দেশটিতে টানা পাঁচ দিন ধরে দৈনিক করোনভাইরাস রোগী শনাক্তের বিশ্বরেকর্ড হয়েছে। হাসপাতালগুলো রোগীতে উপচে পড়ছে। হাসপাতালগুলোতে শয্যা খালি না থাকাতে অনেক গুরুতর রোগীকে বাড়িতে রেখেই চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। এতে দেশটিতে মহামারী পরিস্থিতি আরও জটিল আকার ধারণ করছে।
এর সঙ্গে যুক্ত হয়েছে অক্সিজেন সংকট। হাসপাতালগুলোতে অক্সিজেন সংকটে ইতোমধ্যেই অনেক রোগীর মৃত্যু হয়েছে। রাজধানী দিল্লির নামকরা হাসপাতালগুলোও অক্সিজেন সংকটের মধ্যে নতুন রোগী ভর্তি বন্ধ করতে বাধ্য হয়েছে।
এ পরিস্থিতিতে সংকট সামাল দিতে যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য ও জার্মানি জরুরি চিকিৎসা সহায়তা পাঠানোর প্রতিশ্রুতি দিয়েছে।
রোববার ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী দেশটির সব নাগরিককে টিকা নেওয়ার ও করোনাভাইরাস বিধিনিষেধ মেনে চলে সতরর্কতা অবলম্বনের পরমার্শ দিয়েছেন। ‘সংক্রমণের ঝড় ভারতকে ঝাঁকুনি দিচ্ছে’ বলে মন্তব্য করেছেন তিনি।
হাসপাতালগুলো ও চিকিৎসকরা বাইরে জরুরি নোটিশ টাঙিয়ে দিয়ে তারা রোগীর ভিড় আর সামলাতে পারছেন না বলে জানিয়ে দিচ্ছেন।
যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন রোববার জানিয়েছেন, ব্যাপক সংক্রমণ মোকাবেলায় ভারতকে সাহায্য করতে তার দেশ অবিলম্বে টিকার কাঁচামাল, চিকিৎসা উপকরণ ও সুরক্ষা সামগ্রী পাঠাচ্ছে।
আগামী কয়েকদিনের মধ্যে জার্মানি অক্সিজেন ও চিকিৎসা সহায়তা পাঠাবে বলে দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী হাইকো মাশ সোমবার জানিয়েছেন। ইউরোপীয় কমিশনও অক্সিজেন ও ওষুধ পাঠাবে বলে জানিয়েছে।
বিশ্বের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ জনবহুল দেশ ভারত করোনাভাইরাস সংক্রমণে শীর্ষে থাকা যুক্তরাষ্ট্রের পর দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে আর মৃত্যুতে যুক্তরাষ্ট্র, ব্রাজিল ও মেক্সিকোর পর চতুর্থ স্থানে আছে।
তবে দেশটিতে করোনাভাইরাস মহামারীতে মৃত্যুর সংখ্যা আরও অনেক বেশি হবে বলে ধারণা স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞদের।
সূত্র, বিডিনিউজ টুয়েন্টিফোর ডটকম