সিলেট নগরীর জিন্দাবাজারে এস এম আব্দুল আহাদ নামে কুয়েত প্রবাসী আওয়ামী লীগ নেতাকে খুন করতে লাখ টাকার চুক্তি করা হয়েছিল। এ হত্যায় জড়িত থাকার অভিযোগে একজনকে আটক করে পুলিশ। আটক হওয়া মুরাদ হোসেন রানা এ হত্যাকান্ডের ব্যাপারে আজ রবিবার (১৬ সেপ্টেম্বর) ১৬৪ ধারায় আদালতে এ স্বীকারোক্তি দিয়েছে।
সে জানায়, এক লাখ টাকার বিনিময়ে সে তার সহযোগীদের নিয়ে আব্দুল আহাদকে হত্যার মিশনে অংশ নিয়েছিল।
কোতয়ালি থানার উপ-পরিদর্শক ও মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা অনুপ কুমার চৌধুরী জানান, মোবাইল ফোনের কললিস্টের সূত্র ধরে গত ১০ সেপ্টেম্বর মুরাদ হোসেন রানাকে সিলেট নগরীর ঘাসিটুলা তার বন্ধুর বাসা থেকে আটক করা হয়।
তিনি জানান, ১১ সেপ্টেম্বর আদালত তাকে ৫ দিনের রিমান্ডমঞ্জুর করে। রিমান্ড শেষে আজ সে আদালতে আব্দুল আহাদ হত্যাকান্ডের বিষয়ে স্বীকারোক্তি দিয়েছে।
মুরাদ হোসেন রানার গ্রামের বাড়ি গোলাপগঞ্জ উপজেলার ঢাকাদক্ষিণ রায়গড় গ্রামে।
তদন্তের স্বার্থে এ হত্যাকান্ডের মূল হোতাদের নাম জানাননি এসআই অনুপ।
উল্লেখ্য যে, গত ৩১ আগস্ট রাত সাড়ে ১০টার দিকে সিলেট নগরীর জিন্দাবাজারে আব্দুল আহাদকে ছুরিকাঘাত করে হত্যা করে দুর্বৃত্তরা। আহাদ বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ কুয়েত শাখার সাংগঠনিক সম্পাদক এবং সিলেট বিভাগীয় লেখক ফোরাম কুয়েত শাখার সাধারণ সম্পাদক ছিলেন। তিনি মৌলভীবাজারের রাজনগর উপজেলার করিমপুর মেদিনী মহলের নুর মিয়ার ছেলে।
সূত্র, সিলেটভিউনেট২৪.কম