শনিবার স্থানীয় সময় বিকালে দেশটি এই আশঙ্কাজনক মাইলফলক পার হয়, জানিয়েছে নিউ ইয়র্ক টাইমস।
বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন, এই সংখ্যাটি বিস্ময়কর হলেও প্রকৃত আক্রান্তের সংখ্যা আরও অনেক বেশি হবে আর এতে ভাইরাস নিয়ন্ত্রণে দেশটির ব্যর্থতার ব্যাপকতাও প্রতিফলিত হয়েছে।
সরকারি এই পরিসংখ্যান অনুযায়ী, যুক্তরাষ্ট্রের প্রায় প্রতি ১৩ জনের মধ্যে একজন বা জনসংখ্যার সাত দশমিক ছয় শতাংশ করোনাভাইরাস মহামারীতে আক্রান্ত।
আড়াই কোটি আক্রান্তের সংখ্যাকে ‘অবিশ্বাস্য মাপের ট্র্যাজেডি’ বলে বণর্না করেছেন জনস হপকিন্স ব্লুমবার্গ স্কুল অব পাবলিক হেলথের গবেষক কেইটলিন রিভার্স, করোনাভাইরাস মহামারীকে ইতিহাসের অন্যতম মারাত্মক জনস্বাস্থ্য সংকট বলে অভিহিত করেছেন তিনি।
আক্রান্তের সংখ্যা বৃদ্ধি পেতে থাকায় যুক্তরাষ্ট্রে করোনাভাইরাসজনিত মৃত্যুর সংখ্যাও অপ্রতিহত গতিতে বাড়ছে, ইতোমধ্যেই তা চার লাখ ১৪ হাজার ছাড়িয়ে গেছে।
এই হিসাব অনুযায়ী, কোভিড-১৯ এ দেশটির প্রায় প্রতি ৮০০ জনের মধ্যে একজনের মৃত্যু হয়েছে।
গত বছরের জানুয়ারিতে প্রথম যুক্তরাষ্ট্রে করোনাভাইরাস রোগী শনাক্ত হয়েছিল, তারপর আক্রান্তের সংখ্যা এক কোটিতে পৌঁছতে নয় মাসেরও বেশি লেগেছিল। ২০২০ সালের শেষ দিনে এসে মাত্র সাত সপ্তাহের মধ্যে আরও এক কোটি আক্রান্ত যুক্ত হয়ে শনাক্ত মোট রোগীর সংখ্যা দুই কোটি ছাড়িয়ে যায়, আর সেখান থেকে আড়াই কোটিতে পৌঁছতে প্রায় তিন সপ্তাহ বেশি লেগেছে।
জানুয়ারির শুরুতে কিছুটা কমলেও তারপর থেকে আক্রান্তের সংখ্যা বাড়তে শুরু করে সর্বোচ্চ পর্যায়ে দৈনিক তিন লাখেরও বেশি রোগী শনাক্তের রেকর্ড হয়েছে। ওই সময় হাসপাতালে ভর্তি হওয়া রোগীর সংখ্যা সর্বোচ্চ পর্যায়ে উঠেছিল, তারপর থেকে কমতে শুরু করেছে।
এখন বিশেষজ্ঞদের আশঙ্কা, করোনাভাইরাসের অতিসংক্রামক নতুন ধরনের আবির্ভাবে অগ্রগতির যে কোনো লক্ষণ বিফলে যেতে পারে।
যুক্তরাষ্ট্রের সেন্টারস ফর ডিজিজ কন্ট্রোল এন্ড প্রিভেনশন সম্প্রতি সতর্ক করে বলেছে, ব্রিটেনে প্রথম শনাক্ত হওয়া ভাইরাসের নতুন ধরন মার্চের মধ্যে যুক্তরাষ্ট্রে সংক্রমণের প্রধান উৎস হয়ে উঠতে পারে, এতে আক্রান্ত ও মৃত্যুর সংখ্যা ফের বৃদ্ধি পেতে পারে।
সূত্র, বিডিনিউজ টুয়েন্টিফোর ডটকম