জাকির সিকদার: বাংলাদেশি পণ্যে অগ্রাধিকারমূলক বাজার সুবিধা, জিএসপি সাময়িকভাবে স্থগিত করেছে যুক্তরাষ্ট্র।
বৃহস্পতিবার বাংলাদেশ সময় রাত ২টার দিকে যুক্তরাষ্ট্রের বাণিজ্য প্রতিনিধি মাইকেল ফ্রোম্যান এক বিবৃতিতে প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামার এই সিদ্ধান্তের কথা জানান।
বিবৃতিতে বলা হয়, বাংলাদেশের জিএসপি সুবিধা স্থগিত করাই শ্রেয়। আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত শ্রম অধিকার বাস্তবায়নে বাংলাদেশ যথাযথ পদক্ষেপ নেয়নি।
জিএসপি-র আওতায় যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে প্রায় পাঁচ হাজার রকম পণ্যের শুল্কমুক্ত সুবিধা পেতো বাংলাদেশ। যদিও এই তালিকায় দেশের প্রধান রপ্তানি পণ্য তৈরি পোশাক ছিলোনা ।
তবে, ২০১৩ সালের ডিসেম্বরে আরেকবার বাংলাদেশের শ্রমমান ও শ্রমিক অধিকারের বিষয়গুলো পর্যালোচনা করবে যুক্তরাষ্ট্র। তার ভিত্তিতেই সিদ্ধান্ত বাংলাদেশকে জিএসপি সুবিধা ফিরিয়ে দেয়ার বিষয়টি বিবেচনা করবে যুক্তরাষ্ট্র।
গত এপ্রিলে সাভারে রানা প্লাজা ভবনধসে ১ হাজার ১০০ জনের বেশি শ্রমিক নিহত হন। এরপরই বাংলাদেশের অগ্রাধিকারমূলক বাজারসুবিধা (জিএসপি) পাওয়া নিয়ে নতুন করে আলোচন শুরু হয়। ওই ঘটনার প্রায় দুই মাস পর নয়জন ডেমোক্র্যাট সিনেটর যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে বাংলাদেশ যেসব বাণিজ্যসুবিধা পেয়ে থাকে, তা স্থগিত রাখার জন্য প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামার প্রতি আহ্বান জানান।
বাংলাদেশের তৈরি পোশাক কারখানাগুলোতে নিরাপত্তা ও কাজের পরিবেশের অগ্রগতি হওয়ার আগ পর্যন্ত এ সুবিধা স্থগিত রাখার আহ্বান জানানো হয়।
ডেমোক্র্যাট সিনেটররা বলেন, ‘বাংলাদেশের জন্য অগ্রাধিকারমূলক বাজারসুবিধা (জিএসপি) স্থগিত করতে এবং সে দেশের পোশাক কারখানাগুলোতে প্রয়োজনীয় নিরাপত্তা বিধান করাসহ শ্রম আইন সংশোধনের জন্য রোডম্যাপ তৈরি ও এর জন্য সুনির্দিষ্ট সময়সীমা বেঁধে দিতে আমরা ওবামা প্রশাসনের প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি।’
এদিকে, যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে বাংলাদেশের (জিএসপি স্থগিতের সিদ্ধান্তকে ‘দুঃখজনক’ হিসেবে আখ্যায়িত করেছে বাংলাদেশ সরকার। একইসঙ্গে খুব শিগগিরই মার্কিন প্রশাসন বাংলাদেশকে তার জিএসপি সুবিধা ফিরিয়ে দেবে বলে আশা প্রকাশ করেছে।
শুক্রবার বাংলাদেশ পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক বিবৃতিতে এসব কথা বলা হয়েছে।