গোসাইরহাট উপজেলার কোদালপুর ইউপিতে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন দেওয়া হয়েছিল উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান সৈয়দ নাসির উদ্দিনের ভাই সৈয়দ মনিরুজ্জামানকে। ওই ইউপিতে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচন করে বিজয়ী হন উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মিজানুর রহমান।
মিজানুর রহমান বলেন, ‘উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক নিজের পরিবারকে ক্ষমতার কেন্দ্রবিন্দুতে পরিণত করতে তাঁর ভাইকে মনোনয়ন দেওয়ার জন্য প্রভাব খাটিয়েছেন। জনগণ সমুচিত জবাব দিয়ে আমাকে নির্বাচিত করেছে।’
উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ নাসির উদ্দিন বলেন, ‘তৃণমূলের সমর্থনেই আমার ভাই মনোনয়ন পেয়েছেন। মিজানুর রহমান নির্বাচনের দিন সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড ঘটিয়ে আমাদের বিজয় ছিনিয়ে নিয়েছেন। আমরা ফলাফল প্রত্যাখ্যান করে পুনরায় নির্বাচন দাবি করেছি।’
শরীয়তপুর সদর উপজেলার চিকন্দি ইউপিতে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন দেওয়া হয়েছিল আইনজীবী মান্নান তালুকদারকে। তিনি ২০১১ সালে করা কমিটির ইউনিয়ন বিএনপির সহসভাপতি। ওই ইউপিতে দলীয় মনোনয়ন না পেয়ে বিদ্রোহী প্রার্থী হয়ে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের যুগ্ম আহ্বায়ক এনামুল হক।
এনামুল হক বলেন, ‘কীভাবে মনোনয়ন বাণিজ্য হয়েছে তার বড় প্রমাণ বিএনপির নেতাকে মনোনয়ন দেওয়া। মনোনয়ন দিতে ভুল হলেও জনগণ ভুল করেনি। তারা প্রকৃত আওয়ামী লীগের প্রার্থীকেই ভোট দিয়েছে।’
রুদ্রকর ইউপিতে দলীয় মনোনয়ন পেয়েছিলেন জাতীয় সংসদের সংরক্ষিত মহিলা সাংসদ নাভানা আক্তারের স্বামী মোক্তার হোসেন। ওই ইউপিতে বিদ্রোহী প্রার্থী হন ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি হাবিবুর রহমান। তিনি বিপুল ভোটের ব্যবধানে বিজয়ী হন।
হাবিবুর রহমান বলেন, ‘শরীরের রক্ত দিয়ে, জেল জুলুম সহ্য করে তৃণমূলের আওয়ামী লীগকে সংগঠিত করে রেখেছি। মনোনয়ন দেওয়ার সময় পরিবারের সদস্যদের দেওয়া হয়। জনগণ তাদের সিদ্ধান্ত প্রত্যাখ্যান করে আমাকে ভোট দিয়ে নির্বাচিত করেছে।’