সিলেট থেকে: আওয়ামী লীগের ২০তম জাতীয় সম্মেলনকে ঘিরে নেতা-কর্মীর স্রোত এখন ঢাকামুখী। সম্মেলনে যোগ দিতে সিলেট ছাড়ছেন সহস্রাধিক কাউন্সিলর-ডেলিগেট। এরই মধ্যে অনেকে ঢাকায় পৌঁছেছেন। কেউবা যাওয়ার অপেক্ষায়।
অনেকে বৃহস্পতিবার (২০ অক্টোবর) যাত্রা করবেন বলে জানিয়েছেন জেলা ও মহানগর আওয়ামী লীগের নেতারা।
আগামী ২২ ও ২৩ অক্টোবর ঢাকার সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে অনুষ্ঠিতব্য সম্মেলনকে ঘিরে সিলেটের নেতা-কর্মীর মধ্যে বিরাজ করছে ব্যাপক উৎসাহ-উদ্দীপনা।
এবার সিলেট জেলা ও মহানগর আওয়ামী লীগের ২শ’ ৪ জন কাউন্সিলর ও প্রায় ১ হাজার ৩শ’ ডেলিগেট সম্মেলনে অংশ নিচ্ছেন। এরমধ্যে সিলেট জেলা আওয়ামী লীগের কাউন্সিলর ১শ’ ৬৪ ও ডেলিগেট এক হাজার জন। আর মহানগর আওয়ামী লীগের কাউন্সিলর ৪০ ও ডেলিগেট ৩শ’জন রয়েছেন।
মূলত ২৫ হাজারে একজন কাউন্সিলর মনোনীত হন। সে হিসেবে সিলেট থেকে ২শ ৪ জন কাউন্সিলর সম্মেলনে সিলেটের প্রতিনিধিত্ব করবেন জানিয়েছেন নগর আওয়ামী লীগের দফতর সম্পাদক অ্যাডভোকেট শামসুল ইসলাম।
জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শফিকুর রহমান চৌধুরী বলেন, জেলা আওয়ামী লীগ থেকে ১শ’ ৬৪ জন কাউন্সিলর ও এক হাজার ১৬ ডেলিগেট সম্মেলনে অংশ নিবেন। এরমধ্যে জেলা কমিটির সদস্য, উপজেলা কমিটির সভাপতি-সাধারণ সম্পাদকসহ সিনিয়র নেতারা কাউন্সিল হিসেবে জাতীয় সম্মেলনে যাবেন।
প্রেসিডিয়াম, সম্পাদকীয় ও সদস্য পদে সিলেটবাসীকে এবার বঞ্চিত করা হবে না আশাবাদ ব্যক্ত করে তিনি বলেন, সিলেটের মাটি ও মানুষের সঙ্গে বঙ্গবন্ধুর আত্মার সম্পর্ক ছিলো। যা আমাদের নেত্রীর মধ্যেও বিদ্যমান। সে হিসেবে আমরা নেত্রীর মনের মণিকোঠায় থাকতে চাই।
সিলেট মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সাবেক সিটি মেয়র বদর উদ্দিন আহমদ কামরান অগ্রদৃষ্টিকে বলেন, এবার মহানগর আওয়ামী লীগের ৪০ জন কাউন্সিলর এবং ৩শ জন ডেলিগেট সম্মেলনে যোগ দেবেন।
তিনি বলেন, সম্মেলনে যাবেন এমন কাউন্সিলর ও ডেলিগেটদের তালিকা ইতোমধ্যে ঢাকায় পাঠানো হয়েছে।
এদিকে, এবারের সম্মেলনে চমক দেখাতে পারেন প্রধানমন্ত্রীর আস্থাভাজন জাতিসংঘস্থ বাংলাদেশ মিশনের সাবেক স্থায়ী প্রতিনিধি ও রাষ্ট্রদূত ড. একে আবদুল মোমেন। তিনি আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য নির্বাচিত হতে পারেন। নেত্রীর গুড বুকে রয়েছেন দলের শিক্ষা বিষয়ক সম্পাদকের দায়িত্বে থাকা শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদও।
এবারও সাংগঠনিক সম্পাদক পদ পেতে পারেন অ্যাডভোকেট মিসবাহ উদ্দিন সিরাজ, সাংগঠনিক সম্পাদক পদে সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী মরহুম আব্দুস সামাদ আজাদের ছেলে আজিজুস সামাদ ডন, জানিয়েছে দলীয় সূত্র।
এছাড়া তৃণমূলে সংগঠনকে শক্তিশালী করতে না পারা, ইউনিয়ন পরিষদ ও পৌরসভা নির্বাচনে বিতর্কিতদের কাছ থেকে অনৈতিক সুবিধা নিয়ে মনোনয়ন দেওয়াসহ যাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ আছে, তাদের কার্যনির্বাহী সংসদ থেকে বাদ দেওয়া হতে পারে। এমনটি নিশ্চিত করেছেন দলের একাধিক সূত্র।