দুই মালিকের সঙ্গেই তারা ধরা পড়েছিল পুলিশের হাতে ২০ দিন আগে।
মালিকরা জামিন পেয়ে গেছে, কিন্তু তারা এখনও পুলিশের হেফাজতে।
তাদের খাওয়াদাওয়ার দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল এক পুলিশ কর্মীকে। কিন্তু কাজের চাপে এখন এক স্থানীয় ব্যবসায়ীকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে তাদের দেখাশোনার।
ওই ব্যবসায়ী ভেবেছিলেন দিন কয়েকের ব্যাপার, কিন্তু পুলিশের কাছ থেকে তাদের দায়িত্ব নিয়ে তিনি এখন ফেঁসে গেছেন!
কবে যে তারা ‘জামিন’ পাবে কেউ জানে না!
হেফাজতে থাকা এরা ২৮টি ছাগল!!
ঘটনা ভারতের ঝাড়খণ্ড রাজ্যের। লাইসেন্সবিহীন মাংসের দোকান বন্ধ করার অভিযান শুরু হওয়ার পর থেকে গোটা রাজ্যেই শুরু হয়েছে ধরপাকড়। ২৬ এপ্রিল রাঁচির মহকুমা শাসকের নেতৃত্বে এরকমই একটি অভিযান চলার সময়ে কঠহল মোড়ের মাংসের দোকানের দুই মালিক সহ ২৮টি ছাগল আটক হয়।
দোকান মালিক বাবলু মন্সুরি আর সাবির খান তো জামিন পেয়ে গেছেন। কিন্তু একই সঙ্গে আটক হওয়া ছাগলগুলি এখনও হেফাজতে।
নাগরী থানার কর্মকর্তা এ কে সিং বিবিসিকে জানিয়েছেন, “পশু সহিংসতা নিয়মসহ বেশ কয়েকটি ধারায় মামলা হয়েছে। আদালতের আদেশ ছাড়া ছাগলগুলিকে ছাড়তে পারি না আমরা। আদালত ওই ছাগলগুলির স্বাস্থ্য পরীক্ষা করিয়ে রিপোর্ট দিতে বলেছিল। সেটা কোর্টে জমা দেওয়া হয়েছে। তাড়াতাড়িই এগুলিকে ছেড়ে দেওয়া হবে বলেই মনে হচ্ছে।”
কিন্তু ছাগলের ‘জামিন’-এর ব্যাপারটা কী?
ঝাড়খণ্ড হাইকোর্টের সিনিয়র আইনজীবী দীপক ভারতী বলছিলেন, “ছাগলগুলিকে ঠিক গ্রেপ্তার করা হয় নি। বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে বলা যায়। যেহেতু এগুলি জীবিত প্রাণী, তাই রিলিজ অফ লাইফ স্টকের আদেশ দিতে হবে আদালতকে। পশুদের দেখাশোনা করে থাকে এরকম কোনও স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের কাছে তুলে দিতে পারে আদালত, কারণ যেহেতু মাংসের দোকান থেকে পাওয়া গিয়েছিল ছাগলগুলিকে, এটাই সম্ভবত আদালত ধরে নেবে যে সেগুলিকে মেরে ফেলার জন্যই রাখা হয়েছিল।”
তবে মি. মন্সুরি আর মি. খান বলছেন যে পুলিশ কিন্তু তাদের এটাই জানিয়েছে যে ছাগলগুলির ‘জামিন’ করাতে হবে আদালত থেকে।
এখন ছাগলগুলির ‘জামিন’ করানোর জন্য কোর্ট আর উকিলের কাছে দৌড়াদৌড়ি করছেন তাঁরা।