গাজীপুরে পুলিশের অভিযানে নিহত সাইফুর রহমান বাবুলের পিতাকে সুনামগঞ্জ পুলিশ সূপার কার্যালয়ে ৩দিন জিজ্ঞাসাবাদ শুক্রবার বাড়িতে পাঠিয়ে দেয়া হয়েছে। গত ৮অক্টোবর নিহত সাত জনের একজন ছিল সাইফুর রহমান ওরফে বাবলু (২৫)। সে সুনামগঞ্জের ছাতক উপজেলার দক্ষিণ খুরমা ইউপির মনিরজ্ঞাতি (ডিমকা) গ্রামের মতিউর রহমান ওরফে ময়না শাহ ও হুসনে আরা দম্পতির একমাত্র পুত্র। গত ১২অক্টোবর বুধবার রাতে ময়না শাহকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্যে প্রথমে ছাতক থানায় ও পরের দিন বৃহস্পতিবার সুনামগঞ্জ পুলিশ সূপার কার্যালয়ে নেয়া হয়েছে। বাবলু স্থানীয় গোয়াশপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় থেকে প্রাইমারি ও পীরপুর শুকুরুন্ নেছা চৌধুরী হাইস্কুল থেকে এসএসসি ও পরে সিলেটের রায়নগর এলাকায় ফুফুর বাসায় থেকে সার্ক ইন্টারন্যাশনাল কলেজে এইচএসসি পাশ করে। এরপর ঢাকায় গিয়ে গত দু’মাস থেকে সে নিখোঁজ হয়। ৮অক্টোবর পুলিশের জঙ্গি বিরুধী অভিযানে সাইফুর রহমান বাবলু মারা যাবার পর তার পকেটে থাকা একটি জন্ম নিবন্ধনের সূত্র ধরে ১০অক্টোবর পুলিশ তার গ্রামের বাড়ি ডিমকা গ্রাম পরিদর্শন করে। একপর্যায়ে ১২অক্টোবর রাতে ছাতক থানা পুলিশ বাবলুর পিতা ময়না শাহকে জিজ্ঞাসাবাদের থনায় নিয়ে আসে এবং পরের দিন ১৩অক্টোবর সুনামগঞ্জ পুলিশ সূপার হারুনুর রশিদ এর কার্যালয়ে প্রেরন করে। ৩দিন জিজ্ঞাসাবাদ শেষে ১৪অক্টোবর তাকে বাড়িতে পাঠিয়ে দেয়া হয়েছে বলে পুলিশ সূত্রে জানা গেছে। ছাতক থানার অফিসার্স ইনচার্জ (ওসি) আশেক সুজা মামুন ময়না শাহকে বাড়িতে পাঠিয়ে দেয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।