চান মিয়া, ছাতক (সুনামগঞ্জ)ঃ সুনামগঞ্জের ছাতকে এক শিক্ষককে নিয়ে দু’প্রতিষ্টানের রশি টানাটানি শুরু হয়েছে। দু’প্রতিষ্টান প্রধানই তাকে নিজেদের নিয়োগপ্রাপ্ত শিক্ষক দাবি করছেন। বিষয়টি এলাকায় ব্যাপক আলোড়ন সৃষ্টি করেছে।
জানা যায, ২০১২ সালের ডিসেম্বরে সিংচাপইড় আলিম মাদরাসায় ইংরেজি প্রভাষক হিসেবে যোগদান করেন নাজমুল হক। এরপর ২০১৪সাল থেকে বাড়ির নিকটবর্তী জাউয়া ডিগ্রী কলেজের প্রভাষক পদে নিয়োগপ্রাপ্ত হন তিনি। প্রায় আড়াই বছরের অধিক সময় থেকে তিনি একই সঙ্গে দু’টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানেই উপস্থিতি, হাজিরা খাতায় স্বাক্ষর ও পাঠদান করে আসছেন। তিনি বছরের পর বছর একাধিক প্রতিষ্ঠানে চাকরি করলেও প্রতিষ্ঠান প্রধানদের বিষয়টি গোপন রেখেছেন বলে জানা গেছে। ফলে প্রতিষ্ঠানের পক্ষ থেকে তার বিরুদ্ধে প্রশাসনিক কোন ব্যবস্থা নেয়া হয়নি।
মাদরাসার একাধিক শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের সাথে আলাপকালে জানা যায়, নাজমুল হক যোগদানের পর থেকেই সপ্তাহে ৩দিন মাদরাসায় উপস্থিত হন। বাকি দিনগুলোতে কলেজে পাঠদান শেষে এখানে আসেন। কখনও মাদরাসায় একটি কিংবা দু’টি ক্লাস নিয়েই চলে যান কলেজে। এব্যাপারে সিংচাপইড় মাদরাসার এমপিও ভূক্ত শিক্ষক দাবি করে নাজমুল হক জানান, আমি জাউয়া কলেজে শিক্ষকতা করি। তবে আমি এমপিও ভূক্ত হয়েছি মাদরাসায়। এরপর তিনি বেশী কিছু বলতে রাজি হননি। সিংচাপইড় মাদরাসার অধ্যক্ষ মাওলনা আব্দুল হাদী জানান, তিনি হচ্ছেন এখানের বৈধ শিক্ষক। নিয়োগ বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে এখানে তাকে এমপিও ভূক্ত করা হয়েছে। তবে মাঝে মধ্যে ছুটি নিলেও অন্য প্রতিষ্টানে চাকুরীর কথা তাকে জানানো হয়নি।
জাউয়াবাজার কলেজের অধ্যক্ষ আব্দুল গাফ্ফার জানান, নাজমুল হক এ কলেজেরই নিয়োগপ্রাপ্ত শিক্ষক। ২০১৪সালে প্রক্রিয়াগতভাবেই তাকে এখানে নিয়োগ দেয়া হয়েছে। তবে তিনি অন্য কোথাও চাকুরী করেন এসব কিছুই তিনি জানেন না।
এব্যাপারে ছাতক উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার মৌলদুর রহমান জানান, নাজমুল হকের নিজে সব কাগজপত্র দেখেছি। তিনি মাদরাসায় নয় জাউয়া কলেজেই নিয়োগপ্রাপ্ত। এছাড়া ২০১৪সালেই তাকে আমার হাতেই নিয়োগ দেয়া হয়েছে। তবে মাদরাসায় নিয়োগের বিষয়ে তিনি কিছুই শুনতে রাজি হননি।