চীন প্রতিনিধি: বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এর জন্ম শতবার্ষিকী ও স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উপলক্ষে চীনে অবস্থানরত শিক্ষার্থীদের সংগঠন “বাংলাদেশ স্টুডেন্টস ইউনিয়ন ইন চায়না” এর উদ্যোগে দুইদিন ব্যাপী নানা কর্মসূচী পালন করেছে।
২৬ ও ২৭ মার্চ ওয়েবিনার অনুষ্ঠানের মধ্যে ছিল আলোচন সভা, কবিতা আবৃত্তি, রচনা লেখন ও ভিডিও শেয়ারিং প্রতিযোগিতা। অনুষ্ঠান সঞ্চালনায় ছিলেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে কর্মরত শারমিন জাহান, ছাত্র সংগঠনের পরিচালনা পরিষদ সদস্য শিরিন আক্তার এবং অনুষ্ঠান পরিচালনা কমিটির আহবায়ক মোঃ কামাল মিয়া।
অনুষ্ঠানের উদ্বোধন ও সভাপতিত্ব করেন, চায়না-বাংলাদেশ বিজনেস এসোসিয়েশন এর সভাপতি নির্মল কুমার দত্ত। প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন বিশিষ্ট কবি ও শিক্ষানুরাগী ড. মুহাম্মদ সামাদ, উপ-উপাচার্য, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়। প্রধান বক্তা হিসাবে উপস্থিত ছিলেন, বাংলার অন্যতম বিখ্যাত কবি ও চিত্রশিল্পী, কবি নির্মলেন্দু গুন (নির্মলেন্দু প্রকাশ গুন চৌধুরী)।
প্রথম দিনে সভাপতির উদ্বোধনী বক্তব্যের মাধ্যমে অনুষ্ঠানের সূচনা হয়। অতঃপর ছাত্র সংগঠনটির উদ্যোক্তা সংগঠক মোঃ মাজহারুল ইসলাম মাজু স্বাগত বক্তব্য রাখেন। দ্বিতীয় দিন ২৭মার্চ অনুষ্ঠান পরিচালনা কমিটির সদস্য সচিব মোঃ আহনাফ তাহমিদ আনন গঠনমুলক, সংগঠনের লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য সম্পর্কে স্বাগত বক্তব্য পেশ করেন।
এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন, বিশিষ্ট ব্যবসায়ী মোঃ জনি বেপারি, বিশিষ্ট ব্যবসায়ী মোঃ সাজ্জাদ হোসেন, ফ্রেন্ডস এন্ড সিল্ক রোড এর সভাপতি তরুন কান্তি দাস, বিশিষ্ট ব্যবসায়ী যাদব দেবনাথ, ঝাংঝু বিশ্ববিদ্যালয়ের সহযোগী অধ্যাপক ড. মোঃ আশরাফুল আলম, জুঝিয়াং হসপিটাল অব সাউদার্ন মেডিকেল ইউনিভার্সিটি এর ডেপুটি ডিন, ড. ঈগল চাও। পাশাপাশি বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গ, শিক্ষক, ব্যবসায়ী ও শিক্ষার্থী মুল্যবান বক্তব্য রাখেন।
প্রধান অতিথি ড. মুহাম্মদ সামাদ “বাংলাদেশ স্টুডেন্টস ইউনিয়ন ইন চায়না” এর আয়োজনকে সাধুবাদ জানান এবং ভবিষ্যতে তাদের পাশে থাকার প্রত্যয় ব্যক্ত করেন।
প্রধান বক্তা কবি নির্মলেন্দু গুন অনেকটা আবেগে আপ্লুত হয়ে বলেন চীনে যে এত বাঙ্গালী শিক্ষার্থী পড়ালেখা করেন,আমার ধারনা ছিলনা। বিশ্বের অন্যান্য দেশের সাথে যোগাযোগ থাকলেও চীনের শিক্ষার্থীদের সাথে এটা আমার প্রথম অনুষ্ঠান। আগামীতে আমি আপনাদের পাশে থাকব, সবশেষে তিনি বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে তার নিজের লেখা একটি কবিতা আবৃত্তি করে শোনান।
অন্যান্য বক্তা দের মধ্যে ড. আশরাফুল আলম শিক্ষার্থীদের বিভিন্ন উপদেশমুলক বক্তব্য রাখেন। চীনা অতিথি ড. ঈগল চাও স্বাধীনতার সুবর্ণ জয়ন্ত্রীর অনুষ্ঠানে যুক্ত হতে পেরে খুব আনন্দিত হন এবং চায়না-বাংলাদেশ সম্পর্ক আরো জোরদার হউক এই কামনা করেন।
অনুষ্ঠানটি সুন্দরভাবে সার্থক করতে অক্লান্ত পরিশ্রম করে তারা হলেন, মোঃ সাব্বির হাসান, সাটু লাল চাকমা, লিংকন প্রতীক খান, ফররুখ উদ্দিন পিয়াস, জনী বড়ুয়া, ফরহাদ হোসাইন, মেহেদী হাসান, সোহাগ, জাবের, নাঈম, জাকারিয়া, সাইয়ুম, মোজাহিদ, রাজু, মেহেদী, মোস্তাফিজুর, ফারাবি, রাসেল সহ আরও অনেকে। এছাড়াও সুব্রত কুমার, মেহেদী হাসা, রবিউল, শামীমা তাবাসসুম মোহনা, আল-আমিন, মোহাম্মদ শাতিল, হাসান শাহরিয়ার সহ আরো অনেকে গুরুত্বপূর্ণ ভুমিকা পালন করেন।
অনুষ্ঠানে সার্বিক সহযোগিতা ও পরামর্শ প্রদান করেন বিশিষ্ট ব্যবসায়ী ও অনুষ্ঠান পরিচালনা কমিটির প্রধান উপদেষ্টা কল্লোল কান্তি দেবনাথ, উপদেষ্টা সচিব রাকিবুজ্জামান পলাশ, সদস্য, বিশিষ্ট ব্যবসায়ী মোঃ জাহিদুল ইসলাম জাহিদ।
অনুষ্ঠানে মুক্তিযুদ্ধ ও দেশোত্ব বোধক গান পরিবেশন করেন, সৈরভ দাস সান্টু, লিজা রওয়াজা দোরাং ও জিহাদ। অনুষ্টানের শেষে প্রতিযোগিতার বিজয়ীদের নাম, সংগঠনটির অনলাইন চাইনিজ ভাষা শিক্ষা স্কুলের শ্রেষ্ঠ শিক্ষার্থী এবং অন্যতম সংগঠকদের নাম ঘোষনা করা হয়। সভাপতির সমাপনী বক্তব্যের মাধ্যমে অনুষ্ঠানের সমাপ্তি হয়।