আ হ জুবেদঃ ২০১৭ সালের ১১ মার্চ জাতীয় সংসদে ২৫ মার্চ জাতীয় গণহত্যা দিবস পালনের প্রস্তাব সর্বসম্মতভাবে গৃহীত হওয়ার পর থেকেই দিনটি জাতীয় গণহত্যা দিবস হিসেবে পালিত হয়ে আসছে।
২৫শে মার্চ ২০১৯ইং সোমবার স্থানীয় সময় সন্ধ্যা ছয়টায় বিশেষ এ দিনটি উপলক্ষে কুয়েতস্থ বাংলাদেশ দূতাবাসের মাল্টিপারপাস হলরুমে নানা কর্মসূচির আয়োজন করা হয়।
শুরুতেই পবিত্র কোরআন থেকে তেলাওয়াত, শহীদদের সম্মানে নীরবতা পালন এরপর দিবসটি উপলক্ষে বাংলাদেশ থেকে প্রেরিত মহামান্য রাষ্ট্রপতি, মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর বাণী পাঠ করে শোনানো হয়। বাণী পাঠ করেন যথাক্রমে, ডিফেন্স অ্যাটাশে ব্রি. জেনারেল শাহ সাগিরুল ইসলাম এনডিসি, এডব্লিউএফসি, পিএসসি ও কাউন্সিলর জহিরুল ইসলাম খাঁন।
কাউন্সিলর ও দূতালয় প্রধান মোহাম্মদ আনিসুজ্জামানের সঞ্চালনায় আয়োজিত আলোচনা সভায় সভাপতিত্ব করেন কুয়েতে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত এস এম আবুল কালাম।
বক্তব্যে প্রবাসীরা ১৯৭১ সালের এইদিনে বাঙালি জাতির জীবনে এক বিভীষিকাময় রাত নেমে আসার কথা উল্লেখ করেন। ওই মধ্যরাতে বর্বর পাকিস্তানি হানানদার বাহিনী কাপুরুষের মত নিরস্ত্র বাঙালিদের ওপর অস্ত্রে সজ্জিত হয়ে ঝাঁপিয়ে পড়ে। ঘৃণা ভরে দিনটিকে মনে করে বাঙালী জাতি।
দীর্ঘ ৩৮ বছর পর এই দিনটিকে জাতীয় দিবস হিসেবে ঘোষণা করায় জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের কন্যা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনাকে ধন্যবাদ জানান কুয়েত প্রবাসীরা।
অনুষ্ঠানে আরো উপস্থিত ছিলেন, কুয়েতে সোনালী ব্যাংক প্রতিনিধি মোঃ জাকির হোসেন মজুমদার, বিমান কান্ট্রি ম্যানেজার হাফিজুল ইসলাম,দূতাবাসের প্রশাসনিক কর্মকর্তা মো. মিজানুর রহমানসহ নানা শ্রেণী পেশার কুয়েত প্রবাসী বাংলাদেশীরা।
শেষে অনুষ্ঠানে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান সহ সকল শহীদদের জন্য দোয়া করা হয়।