কুয়েতের নিরাপত্তা ও অভিবাসন ব্যবস্থায় এক বড়সড় ধাক্কা লেগেছে। দেশটির আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে কর্মরত পাসপোর্ট বিভাগের বেশ কয়েকজন কর্মীর বিরুদ্ধে গুরুতর অভিযোগ উঠেছে যে তারা অর্থের বিনিময়ে যাত্রী ও প্রবাসীদের দেশে প্রবেশ এবং দেশ থেকে প্রস্থানের রেকর্ড (Entry-Exit Records) জালিয়াতি করেছেন। এই চাঞ্চল্যকর ঘটনা উন্মোচিত হওয়ার পর কর্তৃপক্ষ ইতোমধ্যে অভিযুক্তদের গ্রেপ্তার করেছে এবং তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।
স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় (Ministry of Interior) সূত্রে জানা গেছে, একটি নিবিড় ও গোপন অনুসন্ধানের পর এই জালিয়াতি চক্রটি ধরা পড়ে। অভিযুক্ত কর্মচারীরা তাদের দাপ্তরিক ক্ষমতা ব্যবহার করে অবৈধভাবে কম্পিউটার সিস্টেমে বিভিন্ন ব্যক্তির কুয়েতে আগমন বা বহির্গমনের তারিখ এবং তথ্য পরিবর্তন করতেন। ধারণা করা হচ্ছে, এর মাধ্যমে কিছু ব্যক্তি তাদের ভিসার মেয়াদ সংক্রান্ত আইনি জটিলতা এড়িয়ে যেতেন অথবা অন্য কোনো অবৈধ সুবিধা লাভ করতেন।
কর্তৃপক্ষ এই ঘটনার সঙ্গে জড়িত সকল কর্মীকে গ্রেপ্তার করে পাবলিক প্রসিকিউশনে (Public Prosecution) পাঠিয়েছে। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় একটি বিবৃতিতে জানিয়েছে যে দেশের নিরাপত্তা ও আইনগত প্রক্রিয়াকে দুর্বল করার যে কোনো প্রচেষ্টার বিরুদ্ধে শূন্য সহনশীলতা দেখানো হবে এবং অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে কুয়েতের আইন অনুযায়ী সর্বোচ্চ শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এই জালিয়াতির ঘটনা কুয়েতের অভিবাসন ব্যবস্থায় স্বচ্ছতা বজায় রাখার গুরুত্বকে পুনরায় তুলে ধরেছে এবং কর্মীদের ওপর নজরদারি আরও কঠোর করার প্রয়োজনীয়তা সৃষ্টি করেছে।











