
কুয়েতের শিক্ষা মন্ত্রণালয় স্কুলগুলোতে ধর্মীয় ও রাজনৈতিক চরমপন্থা উসকে দেওয়া বা সাম্প্রদায়িকতা ও দলবাজি উৎসাহিত করে এমন যেকোনো ধরনের কর্মকাণ্ড কঠোরভাবে নিষিদ্ধ করে একটি নির্দেশিকা জারি করেছে। শিক্ষা বিষয়ক সহকারী আন্ডারসেক্রেটারি, প্রকৌশলী হামাদ আল-হামাদ এই সার্কুলারটি জারি করেন।
নির্দেশিকাতে আল-হামাদ জোর দিয়ে বলেন যে, মর্নিং অ্যাসেম্বলি (সকালের সমাবেশ) শিক্ষার্থীদের মধ্যে শৃঙ্খলা, জাতীয়তাবোধ, মানসিক ও শারীরিক প্রস্তুতি এবং দেশপ্রেম, সামাজিক মিথস্ক্রিয়া ও সামগ্রিক শিক্ষা উন্নয়নের মূল্যবোধকে শক্তিশালী করার জন্য গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।
সকালের সমাবেশ এবং অন্যান্য স্কুল কার্যক্রম যাতে তাদের নির্ধারিত শিক্ষামূলক লক্ষ্য অর্জন করতে পারে, তা নিশ্চিত করতে আল-হামাদ স্কুল প্রশাসনগুলোকে বেশ কয়েকটি নির্দিষ্ট পদক্ষেপ মেনে চলার নির্দেশ দিয়েছেন। এর মধ্যে রয়েছে:
১. মন্ত্রীসভার ২০২৪ সালের ৬৯১ নম্বর সিদ্ধান্ত কঠোরভাবে অনুসরণ করা, যা কুয়েতের অভ্যন্তরে বা বাইরে অনুষ্ঠিত সরকারি অনুষ্ঠানগুলোতে কোনো বিদেশী দেশের পতাকা উত্তোলন বা জাতীয় সংগীত বাজানো থেকে সব সরকারি সংস্থা ও প্রতিনিধিদলকে বিরত থাকতে বাধ্য করে।
২. স্কুলগুলোর মধ্যে উদযাপন অনুষ্ঠানের আয়োজন সংক্রান্ত ২০১৫ সালের ১৩৫ নম্বর মন্ত্রীর সিদ্ধান্ত মেনে চলা।
৩. পরিকল্পিত স্কুল কার্যক্রমের উদ্দেশ্য, পদ্ধতি ও মানদণ্ড সম্বলিত তিনটি শিক্ষাস্তরের জন্য সাধারণ বুলেটিন নম্বর ১৭ বাস্তবায়ন করা।
৪. ধর্মীয় বা রাজনৈতিক উগ্রতা বা সাম্প্রদায়িক ও দলীয় ধারণা প্রচার করে এমন যেকোনো প্রতিযোগিতা, অনুষ্ঠান বা কার্যক্রম সম্পূর্ণরূপে নিষিদ্ধ করা।
৫. শিক্ষার্থীদের প্রতিভা ও সক্ষমতাকে লালন করতে এবং শেখার প্রক্রিয়াকে উন্নত করতে শিক্ষামূলক ও সাংস্কৃতিক কর্মসূচি আয়োজন করা।
৬. সকালের সমাবেশে দেরিতে আসা শিক্ষার্থীরা সহ সকল শিক্ষার্থীর উপস্থিতি বাধ্যতামূলক করা, যাতে তারা কার্যক্রমে সমানভাবে অংশ নিতে পারে এবং উপকৃত হতে পারে।
৭. শ্রেণিকক্ষের শিক্ষার পরিপূরক বিভিন্ন শিক্ষামূলক ও সহ-পাঠ্যক্রমিক কার্যক্রমে অংশগ্রহণের মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের আত্মবিশ্বাস গড়ে তোলার ওপর গুরুত্বারোপ করা।