স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী

ঈদযাত্রায় বাসে ডাকাতি ঠেকাতে এবং যাত্রীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার কাজে নতুন পরিকল্পনা নিয়েছে সরকার, তা হল বাস ছাড়ার আগে প্রত্যেক যাত্রীর ছবি তুলে রাখা হবে।
নতুন এই পরিকল্পনার কথা জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী।
মঙ্গলবার দুপুরে পরিবহন মালিক শ্রমিকদের সাথে বৈঠক শেষে তিনি বলেন, “অনেক সময় যাত্রীর ছদ্মবেশে ডাকাত উঠে পড়ে। এ জন্য লাস্ট যাত্রী উঠার জায়াগা থেকে সব যাত্রীর ছবি তুলে রেখে দরজা লক করে দেওয়া হবে।”
এক প্রশ্নের জবাবে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেছেন, এই ছবি তোলার কাজটি বাস কর্তৃপক্ষ করবে এবং প্রয়োজনে সে সব তারা সরবরাহ করবে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে।
কাজটি নজরদারি করার জন্য একটি কমিটি করে দেওয়া হবে বলেও জানিয়েছেন জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী।
এ সময় আগের তুলনায় ডাকাতির সংখ্যা ‘অনেক কমে গেছে’ বলেও মন্তব্য করেছেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা।
প্রতিটি বাসে চালক-সহকারিসহ তিনজন থাকে জানিয়ে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, “যাত্রীদের মধ্যে থেকে অসৎ উদ্দেশে কেউ যদি কোনো কিছু করে থাকে, তাহলে বাসে নম্বর থাকবে সেখান থেকে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে সাথে সাথে জানিয়ে দেওয়া হবে। এটা হলে কিছুটা পরিত্রাণ পাব।”
ফটনেসবিহীন গাড়ী চলাচলের ব্যাপারে সতর্ক করেছেন উপদেষ্টা।
“যে গাড়ি রাস্তায় চলাচলের উপযোগী না, অনেক সময় রঙ করে রাস্তায় নামানো হয়, এটা করা যাবে না।“
দূরপাল্লার বাসের চালকদের গন্তব্য পৌঁছে, দ্বিতীয় যাত্রার আগে বিশ্রাম নেওয়ারও তাগিদ দিয়েছেন তিনি।
বৈঠকে উপস্থিত বিএনপি চেয়ারপারসনের বিশেষ সহকারী এবং জাতীয়তাবাদী শ্রমিক দলের সমন্বয়ক শামছুর রহমান শিমুল বিশ্বাস বলেন, “রমজানের চাইতে কোরবানির ঈদে বেশি মানুষ বাড়ি যায়, সে সব মাথায় রেখে সম্মিলিতভাবে কাজ করা হবে।”
অন্যান্য শহর থেকে কোরবানির গরু ঢাকায় আনার পথ নিয়ে শিমুল বিশ্বাস বলেন, “আমাদের তিনটি ওয়ে সড়ক, নৌ এবং রেল পথ। বিশেষ করে গরু আসে উত্তরবঙ্গ থেকে। যমুনা সেতুর পাশাপাশি কাজির হাট এবং আরিচা একটা বিশেষ ফেরির ব্যবস্থা করা হয়েছে এ জন্য। যেন বিকল্পভাবে গাড়িগুলো এখানে চলে আসতে পারে। যাত্রীও আসা যাওয়া করতে পারে।”