ইরানের রাজধানী তেহরানে একই সঙ্গে পার্লামেন্ট ভবন ও আয়াতোল্লাহ খোমেনির মাজারে সন্ত্রাসী হামলা চালিয়েছে একদল হামলাকারি। স্থানীয় গণমাধ্যমের সর্বশেষ খবরে অন্তত ৭ জন নিহত হয়েছে বলে জানানো হচ্ছে।
ইসলামিক স্টেট এই হামলার দায় স্বীকার করেছে। তাদের দাবি যদি সত্যি হয়ে থাকে ইরানের ভেতরে এটি প্রথম ইসলামিক স্টেটের বড় কোন সন্ত্রাসী হামলা।
পার্লামেন্ট ভবনের বাইরে থেকে ধারণ করা ভিডিওতে প্রচন্ড গোলাগুলির শব্দ শোনা যাচ্ছে। সেখানে একজন নিরাপত্তা রক্ষী নিহত হয়েছে বলে খবর পাওয়া যাচ্ছে।
অন্যদিকে দক্ষিণ তেহরানে আয়াতোল্লাহ খোমেনির মাজারে হামলায় কয়েকজন আহত হয়েছে বলে জানা গেছে।
একজন আত্মঘাতী হামলাকারি ও কয়েকজন বন্দুকধারি সেখানে হামলায় অংশ নেয়।
সেখানে দ্বিতীয় একটি আত্মঘাতী হামলা হয়েছে বলেও খবর পাওয়া যাচ্ছে।
পার্লামেন্ট ভবনে ঠিক কী ঘটছে সে সম্পর্কে বিভ্রান্তিকর খবর পাওয়া যাচ্ছে।
কোন কোন খবরে বলা হচ্ছে সেখানে একটি আত্মঘাতী হামলা হয়। বন্দুকধারীরা সেখানে লোকজনকে জিম্মি করেছে বলেও কোন কোন গণমাধ্যমে খবর দেয়া হচ্ছে।
কিন্তু বিবিসি এখনো কোন সূত্র থেকে এসব খবরের সত্যাতা যাচাই করতে পারেনি।
ইরানের একজন এমপি সেইদ হোসেইন নাকভি হোসেইনিকে উদ্ধৃত করে ইসনা বার্তা সংস্থা জানাচ্ছে, পার্লামেন্ট ভবনের ভেতরে এখনো তিনজন বন্দুকধারী রয়েছে।
বন্দুকধারীদের হাতে কালাশনিকভ রাইফেল এবং পিস্তল দেখা গেছে।
ইরনা বার্তা সংস্থা বলছে, একজন বন্দুকধারীকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
তেহরানের গভর্ণর জানিয়েছেন, আয়াতোল্লাহ খোমেনির মাজারে আত্মঘাতী বোমার বেল্ট বাঁধা এক হামলাকারি একটি বিস্ফোরণ ঘটায়।
কোন কোন খবরে বলা হচ্ছে আত্মঘাতী হামলাকারি ছিল এক মহিলা।
এ ঘটনার বিস্তারিত খবর এখনো আসছে।