নভেল করোনাভাইরাস ছড়িয়ে বিপর্যস্ত ইতালি থেকে যে শতাধিক বাংলাদেশি শনিবার দেশে ফিরেছেন, তারা রোগাক্রান্ত নন বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক।
তবে দেশে ঝুঁকি এড়াতে তাদের কোয়ারেন্টিনে রেখে স্বাস্থ্য পরীক্ষা করা হবে বলে জানিয়েছেন তিনি।
বাংলাদেশে এর আগে ইতালিফেরতসহ যে তিনজনের দেহে নভেল করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ঘটেছিল, তারাও সুস্থ হয়ে উঠেছেন বলে জানান স্বাস্থ্যমন্ত্রী।
শনিবার সকালে এমিরেটসের একটি ফ্লাইটে ঢাকার শাহজালাল বিমানবন্দরে নামেন ইতালির রোমে থেকে আসা ১৪২ বাংলাদেশি।
বিমানবন্দর থেকেই তাদের বিশেষ ব্যবস্থায় নিয়ে যাওয়া হয় আশকোনার হজ ক্যাম্পে। সেখানে তাদের কোয়ারেন্টিনে রাখার নির্দেশনা দেয় স্বাস্থ্য অধিদপ্তর।
এরপর আইইডিসিআরের নিয়মিত সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, প্রাথমিক পরীক্ষায় ইতালি ফেরত এই ব্যক্তিদের মধ্যে কভিড-১৯ রোগের কোনো লক্ষণ দেখা যায়নি।
দুপুরে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরে সংবাদ সম্মেলনে এসে স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক বলেন, “যারা আসছে, সকলেই সুস্থ আছেন। কেউ অসুস্থ নাই। সেভাবে আমরা পাইনি।
“তাদের হজক্যাম্পে নিয়ে রেখেছি। সেখানে রেখে তাদের পরীক্ষা করব। তারা সংক্রমিত কি না, দেখব। আমরা জেনেছি তারা অনেকে সার্টিফেকট নিয়ে এসেছে। তারা সেখানেও কোয়ারেন্টিনে ছিল। যদি দেখি সবাই সুস্থ সেক্ষেত্রে তাদের হোম কোয়ারেন্টাইনে রাখব।”
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক আবুল কালাম আজাদ বলেন, “১৪২ জন সেখানে এসেছে, তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করে জেনেছি কোথা থেকে এসেছে।
“অনেকে হেলথ সার্টিফিকেট নিয়ে এসেছে। আজ বিকালে আরও ৩৪ জন আসবে। আগামীকাল ১৫৫ জন আসার কথা শুনেছি।”
স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, “ইতালিতে যেহেতু বেশি ছড়িয়েছে, তাই আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছি, সেখান থেকে যারাই আসবে তারা কোয়ারেন্টিনে থাকবে। প্রথমে তারা বাধ্যতামূলক কোয়ারেন্টিনে থাকবে, পরে হোম কোয়ারেন্টিনে থাকবে।”
ইতালি থেকে আরও বাংলাদেশি আসছে বলে দেশে সংক্রমণের ঝুঁকি এড়াতে এই পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে বলে জানান তিনি।
“যেহেতু অনেক লোক ইতালি থেকে এসেছে, তাদের মধ্যে অনেকে দুর্যোগপ্রবণ এলাকায় ছিল, তাই তাদের বাধ্যতামূলক কোয়ারেন্টিনে রেখেছি। একেবারে ছেড়ে দেব না। আমরা বিশেষ ব্যবস্থা নিয়েছি। নিজ নিজ বাড়িতে সরকারি তত্ত্বাবধানে তাদের হোম কোয়ারেন্টিনে রাখা হবে।”
সূত্র, বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম