প্রাণঘাতী নভেল করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাবের মধ্যে ইতালি থেকে ফিরেছেন আরও ১৫২ জন বাংলাদেশি।
রোববার সকাল সোয়া ৮টার দিকে এমিরেটস এয়ারলাইন্সের একটি ফ্লাইটে তারা ঢাকার শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে নামেন।
সেখান থেকে সকাল সাড়ে ৯টার দিকে তাদের আশকোনা হজক্যাম্পে নিয়ে যাওয়া হয় বলে বিমানবন্দর স্বাস্থ্য কেন্দ্রের চিকিৎসক ডা. শাহারিয়ার সাজ্জাদ জানান।
তিনি বলেন, “প্রাথমিকভাবে কারও মধ্যে নভেল করোনাভাইরাসের লক্ষণ দেখা যায়নি। এখানে সবার শরীরের তাপমাত্রা স্বাভাবিক ছিল। আশকোনায় আবার পরীক্ষা করা হবে।”
হজক্যাম্পে জায়গা কম হওয়ায় ইতালিফেরত এই প্রবাসীদের একটি অংশকে গাজীপুরের পূবাইলে ‘মেঘডুবি মা ও শিশু কল্যাণ কেন্দ্রে’ নিয়ে যাওয়া হবে কোয়ারেন্টিনে রাখার জন্য।
এর আগে শনিবার সকালে ইতালি থেকে ফেরেন আরও ১৪২ জন এর আগে শনিবার সকালে ইতালি থেকে ফেরেন আরও ১৪২ জন বাংলাদেশি। পরে রাতে আরও দুটি ফ্লাইটে ৩১ জন এবং ৫৮ জন ফেরেন ইতালি থেকে।
তাদের সবাইকে আশকোনা এবং গাজীপুরের মেঘডুবি মা ও শিশু কল্যাণ কেন্দ্রে রাখা হয়েছে বলে জানিয়েছেন শাহারিয়ার সাজ্জাদ।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার ভাষায়, বিশ্বজুড়ে মহামারীর রূপ নেওয়া করোনাভাইরাসের নতুন কেন্দ্র হয়ে উঠেছে ইউরোপ। আর চীনের পর ইউরোপের দেশ ইতালিই সবচেয়ে বাজে পরিস্থিতিতে পড়েছে।
বিশ্বের ১৩৫টি দেশ ও অঞ্চলে প্রায় দেড় লাখ মানুষ ইতোমধ্যে এ ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন, মৃত্যু হয়েছে প্রায় সাড়ে পাঁচ হাজার মানুষের।
এর মধ্যে ইতালিতে আক্রান্তের সংখ্যা পৌঁছে গেছে প্রায় ২০ হাজারে, প্রাণ গেছে অন্তত ১৩ শ’ মানুষের।
ভাইরাসের বিস্তার ঠেকাতে ইতালি সরকার চলাচলের ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করাসহ কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ায় কার্যত অবরুদ্ধ দশার মধ্যে রয়েছে দেশটির সাড়ে ছয় কোটি মানুষ। আর এই পরিস্থিতিতে দলে দলে দেশে ফিরতে শুরু করেছেন সেখানে থাকা বাংলাদেশিরা।
বাংলাদেশে এ পর্যন্ত যে পাঁচজনের মধ্যে সংক্রমণ ধরা পড়েছে, তাদের মধ্যে তিনজন ইতালি থেকে এবং একজন জার্মানি থেকে ফিরেছেন সম্প্রতি। ইতালিফেরত এক প্রবাসীর মাধ্যমে আক্রান্ত হয়েছেন তার পরিবারের এক নারী সদস্য।