তুহিন মাহমুদ/বিশেষ প্রতিনিধি(ইউরোপ):: গত ২০ ডিসেম্বর সকাল ১০ ঘটিকার সময় বাংলাদেশ কনস্যুলেট জেনারেল মিলানের অফিস মিলানায়াতনে ইতালির তিলোত্তমা নগরী মিলানে উৎসব মূখর পরিবেশে পালিত হলো আন্তর্জাতিক অভিবাসী দিবস ২০১৫।
কনসাল জেনারেল রেজিনা আহমেদের সভাপতিত্বে এবং কনসাল রফিকুল ইসলামের প্রানবন্ত উপস্হাপনায় বিশেষ অতিথীর পদ অলঙ্গকৃত করেন ভাইস কনসাল নাফিজা মনছুর।
কনসাল জেনারেল রেজিনা আহমেদ এর স্বাগত বক্তব্যে আমন্ত্রিত অতিথীদের শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানিয়ে অভিবাসী আয়োজিত সভার তাৎপর্য তুলে ধরেন।
কন্সুলেট কর্মকর্তা মোক্তার আহমেদের কোরআন তেলাওয়াতের মাধ্যমে আনুষ্ঠানিকতা শুরু হয়…সভার শুরুতেই প্রবাসী কল্যাণ মন্ত্রণালয় সচিবের বাণী পাঠ করেন ভাইস কনসাল মিজ নাফিজা মনসুর,প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের মাননীয় মন্ত্রীর বাণী পাঠ করেন কনসাল মি.রফিকুল করিম,মাননীয় পররাষ্ট্রমন্ত্রীর বাণী পাঠ করেন নাফিজা,মাননীয় প্রধাণ মন্ত্রীর বাণী পাঠ করেন মি.রফিকুল করিম এবং মহামান্য রাষ্ট্রপতির বাণী পাঠ করেন কনসাল জেনারেল রেজিনা আহমেদ।
সভায় অংশ গ্রহন করেন মিলান বাংলাদেশী কমিউনিটির বিশেষ ব্যক্তিবর্গ ছাড়াও ইতালির সামাজিক ও মানবাধিকার মাইগ্রেশন সম্পর্কিত সংগঠনের নেতৃবৃন্দ।
১৯৯০ সালের ১৮ ই ডিসেম্বর অভিবাসীরা জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদ আন্তর্জাতিক চুক্তি ৪৫/১৫৮ প্রস্তাব আকারে গ্রহন করে।বিশ্বের সব দেশ কে এ সনদের সঙ্গে সঙ্গতি আহবান জানানো হয়।২০০০ সালের ৪ ডিসেম্বর দিনটি পালনের সিদ্ধান্ত নেয়।
মূলত : তারই ধারাবাহিকতায় প্রতিবছর ১৮ ডিসেম্বর আন্তর্জাতিক অভিবাসী দিবস পালিত হচ্ছে।
বিশ্বব্যপি অভিবাসীর সংখ্যা ২৩ কোটি ২০ লাখ জাতিসংঘের তথ্যানুযায়ী। অভিবাসীদের প্রায় ৫০ শতাংসই দেশে ন্যায্য মানবাধিকার থেকে বঞ্চিতা।
এ বছর লিভিং নো ওয়ান অন বিহাইন্ড বা কেউ পেছনে থাকবেনা এই পতিপাদ্য নির্বাচন করেছে।
বাংলাদেশের প্রায় ৮৫ লাখ অভিবাসী পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে কাজ করছে।বাংলাদেশ সরকার এ ব্যপারে সচেতন এবং যত্নবান।যে কারনে সরকারি ভাবে বিদেশে শ্রমিক প্রেরন করছে।
তাছাড়া,তরুন সমাজ কে দক্ষ কর্মিবাহিনী গড়ে তুলছে।ডিজিটালাইজড ডাটা ব্যাংক, দক্ষ কর্মিবাহিনী গড়ে তোলা,সরকারি অর্থসহযোগীতায় সরকারি পর্যায় শ্রমিক পাঠানোর দৃস্টান্ত স্হাপন করেছে।
অভিবাসী শ্রম ব্যবস্হাপনায়
দক্ষতার কারনে বাংলাদেশের রেমিটেন্স বেড়ে চলছে।অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি ও দারিদ্র বিমোচনে প্রবাসীদের রেমিটেন্স গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখছে।এ ব্যপারে লোম্বার দিয়া আও য়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি আ: মান্নান মালিথা মিলানের অভিবাসীদের বাস্তবের নীরিখে বক্তব্য উপস্হাপন করেন এবং অভিবাসীদের বিশেষ করে রেমিটেন্স খাত কে অধিক গুরুত্বের সাথে দেখার কথা বলেন।
কনসাল জেনারেল রেজিনা আহমেদ মিলান বাংলাদেশী অভিবাসীদের বিভিন্ন সমস্যা নিয়ে ইতালির বিভিন্ন সংগঠনের সাথে কাজ করছেন এবং অসহায় কয়েকটি পরিবারের সহায়তা করেছেন মাইগ্রান্টস রাইটস এর সংগঠনের মাধ্যমে।
লোম্বারদিয়া আওয়ামী লীগের সাধারন সম্পাদক নাজমুল কবির জামান বলেন, যে সব প্রবাসীরা ইতালিতে মৃত্যুবরণ করেন তাদের মৃত্যুদেহ সরকারি খরচে পরিবারের নিকট পৌঁছতে পারে সে ব্যাপারে গুরুত্বের সাথে দেখার জন্য দূতাবাসের দৃস্টি আর্কষন করেন। বিশিস্ট কমিউনিটি ও রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব জনাব আকরাম হোসেন বলেন, বাংলাদেশ বিমান বন্ধ হয়ে যাওয়াতে বিশেষ করে মিলান প্রবাসীদের বিপাকে পরতে হয়েছে পূনরায় যাতে বিমান চালু হয় সে ব্যপারে কার্যকর ব্যবস্হা গ্রহন করার জন্য মিলান কন্সুলেট কে অবহিত করেন।
এ ছাড়া অভিবাসীদের বিভিন্ন দিক তুলে ধরে বক্তব্য রাখেন ,বীর মুক্তিোদ্ধা সিরাজুল ইসলাম গাফ্ফার, ইতালি পেশাজীবি লীগের সভাপতি ও লোম্বারদিয়া আওয়ামী লীগের যুগ্ন সম্পাদক তুহিন মাহামুদ,বিশিস্ট আওয়ামী লীগ ব্যক্তিত্ব জামিল আহমেদ,লোম্বার দিয়া আওয়ামী লীগের যুগ্ন সম্পাদক সরোয়ার হোসেন মোল্লা স্বেচছাসেবক লীগের সভাপতি তোফায়েল আহমেদ খান তপু, জনতা একচেন্জের ম্যানেজার মাশরুর সত্তার উজ্জ্ল,ইতালি মানবাধিকার সংগঠনের নেতৃবৃন্দ প্রমূখ।
সভায় আনন্দ আর স্বপ্নের ছোঁয়ায় প্রান্তের কানায় কানায় উপছে পরে আনন্দের ঢেউ নারী পুরুষ,শিশু কিশোরের বালিশ নিক্ষেপ খেলার মাধ্যমে…..! শিশুদের কবিতা আবৃত্তি অনুষ্ঠান কে করে তোলে আকর্ষনীয় ও মুগ্ধকর।
বিজয়ীদের পুরুস্কারিত করে উৎসাহ প্রদান করেন কনসাল জেনারেল রেজিনা আহমেদ।।
শেষাংশে প্রীতিভোজের মাধ্যমে অনুষ্ঠানের সমাপ্তি ঘটে।