স্টাফ রিপোর্টার : অনুমোদন ছাড়া বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে নিয়োগকৃত শিক্ষক-কর্মচারীদের বেতন-ভাতার জন্য শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে কোনো বেতন বা ফি আদায় না করতে নিদের্শ দিয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। তবে অনুমোদিত শিক্ষক-কর্মচারীদের জন্য আলোচনা সাপেক্ষে ছাত্র-ছাত্রীদের বেতন সর্বোচ্চ ৩০ শতাংশ এর বেশী বাড়ানো যাবে না।
গতকাল মঙ্গলবার এ সংক্রান্ত আদেশ জারি করে মন্ত্রণালয়। গত বছরের ডিসেম্বরে নতুন জাতীয় বেতনস্কেল করার পর অনেক বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান নন এমপিও শিক্ষক-কর্মচারীদের বেতন বৃদ্ধির কথা বলে শিক্ষার্থীদের মাসিক বেতন বিভিন্ন হারে বৃদ্ধি করে। কোনো কোনো প্রতিষ্ঠান শতভাগ পর্যন্ত বেতন বৃদ্ধি করে। এ নিয়ে অভিভাবকেরা আন্দোলনে নামলে ওই বর্ধিত বেতন ফি বন্ধের নির্দেশ দেয় শিক্ষা মন্ত্রণালয়।
এতে বলা হয়, সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের জন্য ২০১৫ সালের নতুন পে-স্কেল প্রবর্তনের পরিপ্রেক্ষিতে বেসরকারি এমপিওভুক্ত, আংশিক এমপিওভুক্ত এবং এমপিওবিহীন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো অস্বাভাবিক বেতন ও টিউশন ফি বৃদ্ধি করে যাচ্ছে, যা কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়।
পরিপত্রে বলা হয়, বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক-কর্মচারীর সংখ্যা জনবল কাঠামো অনুসারে নির্ধারণ করতে হবে। শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অনুমোদন ছাড়া কোনো শ্রেণি-শাখা বৃদ্ধি করা যাবে না। শ্রেণি-শাখার অনুমোদন না থাকলে শিক্ষক-কর্মচারী নিয়োগ বৈধ হবে না। অনুমোদন ছাড়া নিয়োগকৃত শিক্ষক-কর্মচারীর বেতন-ভাতার জন্য শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে কোনো বেতন বা ফি আদায় করা যাবে না।
এতে বলা হয়, এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের সরকারি বেতন ভাতার অংশের বাইরে বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ বাড়তি ভাতা প্রদানে ইচ্ছুক হলে তার পরিমাণ এমনভাবে নির্ধারিত হবে যেন, একজন শিক্ষকের মোট প্রাপ্তি কোনভাবেই একই স্কেলভুক্ত সরকারি বিদ্যালয়ের শিক্ষকের মোট প্রাপ্তির বেশি না হয়। একজন নন-এম.পি.ও. শিক্ষকের বেতন ভাতার মোট পরিমাণ কোনভাবেই সমস্কেলের একজন এম.পি.ও.ভুক্ত শিক্ষকের বেতনের চেয়ে বেশি হবে না।
বেতন বাড়ানোর ব্যাপারে বলা হয়, বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের নন এমপিও শিক্ষককর্মচারীদের বেতন বৃদ্ধির লক্ষ্যে শিক্ষার্থীদের মাসিক বেতন সর্বোচ্চ ৩০ শতাংশ পর্যন্ত বাড়ানো যাবে। কোনোভাবেই এর বেশি বাড়ানো যাবে না। তবে এ ক্ষেত্রে অভিভাবকদের সঙ্গে আলোচনা করে তাঁদের সক্ষমতা বিবেচনায় নিয়েই শিক্ষার্থীদের মাসিক বেতন বাড়াতে হবে। এ ছাড়া সংস্থাপন ব্যয় বাবদ ভর্তি নীতিমালায় বর্ণিত সেশন চার্জ ও উন্নয়ন ফি এর অতিরিক্ত কোন অর্থ আদায় করা যাবে না।
ভর্তি ফি ও টিউশন ফি বৃদ্ধির মাধ্যমে আহরণের প্রস্তাব প্রতিষ্ঠানের ব্যবস্থাপনা কমিটির সুপারিশসহ অধ্যক্ষ বা প্রধান শিক্ষক তা জেলা শিক্ষা কর্মকর্তার নিকট দাখিল করবেন। এর চুড়ান্ত অনুমোদন দিবেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা)।
তথ্য দৈনিক সংগ্রাম