চান মিয়া, ছাতক (সুনামগঞ্জ) সংবাদদাতাঃ ছাতকে নৌকা দিয়ে মালামাল পারাপার করাকে কেন্দ্র করে দু’গ্রামবাসীর রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষে অর্ধশতাধিক লোক আহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। সংঘর্ষ থামাতে পুলিশ ১২রাউন্ড টিআর সেল নিক্ষেপ করে। রোববার সকাল ১০টা থেকে বেলা ২টা পর্যন্ত একটানা চার ঘন্টাব্যাপী এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। পুলিশ ও স্থানীয় সুত্রে জানা যায়, উপজেলার সিংচাপইড় ইউনিয়নের সিরাজগঞ্জ বাজার সংলগ্ন বটেরখাল নদীতে রাখা, সিংচাপইড় গ্রামের বিলাল মিয়ার নৌকা দিয়ে দোলারবাজার ইউনিয়নের উত্তর কুর্শী গ্রামের মৃত সুনা মিয়ার পুত্র মখন আলীর মালামাল পারাপারকে কেন্দ্র করে সকাল ১০টায় এ সংঘর্ষের সূত্রপাত ঘটে। এসময় উত্তর কুর্শী গ্রামের সুনা মিয়ার পুত্র মখন আলী (২৩) ও বিলাল মিয়ার পুত্র আলী আহমদ (২২) এর সাথে কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে হাতাহাতির ঘটনা ঘটে। পরে দেশীয় অস্ত্রশস্ত্রে সজ্জিত হয়ে সিংচাপইড়, কুর্শী ও পরে কুর্শীর পক্ষ নিয়ে সদুখালী গ্রামের একাংশ তুমুল সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। এসময় প্রায় ৪ঘন্টা ব্যাপী দফায়-দফায় সংঘর্ষে উভয় পক্ষের অর্ধশতাধিক লোক আহত হয়। খবর পেয়ে জাউয়া পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ এসআই শফিকুল ইসলামের নেতৃতে একদল পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে সংঘর্ষ নিয়ন্ত্রন করতে ১২ রাউন্ড টিআর সেল নিক্ষেপ করে। পরে সুনামগঞ্জ জেলা এডিশনাল এসপি সাইফুল ইসলাম, ছাতক উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান অলিউর রহমান চৌধুরী বকুল, ছাতক থানার ওসি আশেক সুজা মামুন ও ইউপি চেয়ারম্যান মুর্শেদ আহমদ চৌধুরী ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করেন। দীর্ঘ ৪ঘন্টাব্যাপী এ সংঘর্ষে গুরুতর আহত আব্দুল মনাফ (৪৫), অলিউর রহমান (৩৫) ও আব্দুল বারী (৪০) কে সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ও অন্যান্যদের কৈতক হাসপাতালসহ স্থানীয়ভাবে চিকিৎসা দেয়া হয়েছে। আহতরা হলেন, সেলিম উদ্দিন (২৫), হাছিদ আলী (৫৫), রজাক মিয়া (৪৫), মিনহাজ আহমদ (২৬), ছাদিল মিয়া (৩২), ময়না মিয়া (৫৫), জাহির আলী (৩২), সেলিম আহমদ (২৪), লুৎফুর রহমান (৩৫), তৈমুছ আলী (৪৫), লালা মিয়া (৪৮), মারুফ মিয়া (১৫), শাবাজ মিয়া (২৮), সাহিদ মিয়া (২৮), নজির মিয়া (২৪), রুহুল মিয়া (২৮), রুপন মিয়া (২৬), সাহেদ মিয়া (৩৫), মাফিজ আলী (৩৫), ছৈদুল হক (৩০), মিলন মিয়া (২৫), এলাইচ মিয়া (৩৫), দুদু মিয়া (২৬), সাহেব আলী (৪০), আব্দুল হান্নান (৩২), আইয়ুব আলী (৩৫) প্রমুখ। এনিয়ে এলাকায় উত্তপ্ত পরিস্থিতি বিরাজ করছে।