সেলিনা হালিম, স্পেন প্রতিনিধি: স্পেন প্রবাসী বাংলাদেশিরা যথাযোগ্য মর্যাদায় মহান একুশে ফেব্রুয়ারি ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উপলক্ষে বার্সেলোনা সিটি কর্পোরেশনের সহযোগীতায় একুশে ফেব্রুয়ারি ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস পালন করেছেন।
২১ ফেব্রুয়ারি বৃহস্পতিবার স্থানীয় সময় বিকাল ৪:৪৫ মিনিটে বার্সেলোনার প্লাসা পেদ্রোতে ভাষা শহীদদের স্মরণে শহীদ মিনারে পুষ্পস্তবক অর্পণ করা হয়। অনুষ্ঠানে সকল সামাজিক, সাংস্কৃতিক, রাজনৈতিক সংগঠন গুলো একত্রে পরিবেশন করেন কালজয়ী সংগীত “আমার ভাইয়ের রক্তে রাঙানো একুশে ফেব্রুয়ারি, আমি কি ভুলিতে পারি”।
অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ এসোসিয়েশন এন বার্সেলোনার সভাপতি মাহারুল ইসলাম মিন্টুর সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, স্পেনের নিযুক্ত বাংলাদেশ দূতাবাসের হেড অব চ্যান্সারি হারুন আল রাশিদ।
বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বার্সেলোনার বাংলাদেশ কনস্যুলার সিনিয়র রামন পেদ্রো, সাব দেলিগাসিয়ন দেল গভিয়ের্নো (বার্সেলোনা) মনসেররাত গ্রাসিয়া লোবেররা, সিটি করপোরেশনের সিউদাদ ভেইয়া বার্সেলোনার কর্মকর্তা গালাপিন রেখিদরাস, চেক রিপাবলিক এর কনস্যুলেটর খাইনে মার্টিন পুচল, শ্রীলঙ্কার কনস্যুলেটর আগুস্টিন লানাস আর্মেস্ট, সিটি করপোরেশনের কাউন্সিলর ও এসকেররা দলের ভাইস প্রেসিডেন্ট মার্ক বোররেল, বার্সেলোনা সিটি করপোরশনের ইমিগ্রেশন বিভাগের কমিশনার লোলা লোপেসসহ অন্যান্য বিদেশী অতিথিবৃন্দ।
এছাড়াও বিভিন্ন সংগঠনের মধ্যে শহীদ মিনারে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন বাংলাদেশ এসোসিয়েশন এন কাতালোনিয়া, এসোসিয়েশন কোলতুরাল দে বাংলাদেশ এন কাতালোনিয়া, স্পেন-বাংলা প্রেস ক্লাব, বাংলা স্কুল বার্সেলোনা, বন্ধুসূলভ মহিলা সংগঠন বার্সেলোনা, জালালাবাদ এসোসিয়েশন, ভয়েস অব বার্সেলোনা, গ্রীণ ক্রিসেন্ট সোসাইটি, মহিলা সমিতি বার্সেলোনা, কাতালোনিয়া আওয়ামী লীগ, কাতালোনিয়া বিএনপি, সর্ব ইউরোপীয়ান হৃদয়ে একাত্তর ফাউন্ডেশন,কাতালোনিয়া যুব লীগ, স্বেচ্ছা সেবক লীগ, কাতালোনিয়া যুব দল, বঙ্গবন্ধু পরিষদ, স্বেচ্ছাসেবক দল, সুনামগঞ্জ কোলতুরাল এসোসিয়েশন, প্রবাসী বিয়ানীবাজার, কুমিল্লা সমিতি, কুলাউড়া ওয়েলফেয়ার এসোসিয়েশন, গোলাপগঞ্জ সমিতি, ঢাকা সমিতি, মাদারিপুর সমিতি, মাদারিপুর ভিআইপি ক্লাব, শরিয়তপুর সমিতি, প্রবাস কথা বার্সেলোনা ও বার্সেলোনা পূজা কমিটিসহ আরো অন্যান্য সংগঠন।
অনুষ্ঠানে বাচ্চাদের জন্য চিত্রাংঙ্গ প্রতিযোগীতা, কবিতা আবৃত্তি করা ও দেশাত্ববোধক গান পরিবেশন করা হয়।
উল্লেখ্য যে, এই বছরই প্রথমবারে মত ভাষা শহীদদের স্মরণে স্থায়ীভাবে শহীদ মিনার স্থাপনের অনুমতি পায় স্পেনে অবস্থানরত প্রবাসী বাংলাদেশিরা।