আন্তর্জাতিক ডেস্ক : তুর্কি বাহিনী ও সিরিয়ার বিদ্রোহী সংগঠন ফ্রি সিরিয়ান আর্মি (এফএসএ) যৌথভাবে আফরিন শহর পুরোপুরি দখলে নিয়েছে। এর আগে এই শহরটি নিয়ন্ত্রণ করতো কুর্দি গেরিলারা। আজ (রোববার) তুর্কি প্রেসিডেন্ট রজব তাইয়্যেব এর্দোগান এ তথ্য জানিয়েছেন। আফরিন শহরে তুর্কি পতাকা উত্তোলন করা হয়েছে বলে তিনি জানান।
এর্দোগান আরও বলেছেন, স্থানীয় সময় সকাল সাড়ে আটটায় তুরস্ক সমর্থিত বাহিনী পুরো শহরের নিয়ন্ত্রণ নিয়েছে।
তুর্কি সশস্ত্র বাহিনীর এক টুইটার বার্তায় বলা হয়েছে, তুরস্কের সশস্ত্র বাহিনী ও তুর্কি সমর্থিত গেরিলা গোষ্ঠী ‘ফ্রি সিরিয়ান আর্মি’ বা এফএসএ আফরিন শহরের ওপর পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠা করেছে।
ওই এলাকায় কুর্দি গেরিলারা কোনো ল্যান্ডমাইন বা অন্য ধরনের বিস্ফোরক পুতে রেখে গেছে কি না- তা অনুসন্ধান করা হচ্ছে বলেও জানিয়েছে তুর্কি প্রশাসন। সেনাবাহিনীর শেয়ার করা এক ভিডিওতে দেখা যায়, আফরিনের সিটি সেন্টারে তুরস্কের পতাকা টানিয়ে দেয়া হয়েছে।
এছাড়া তুর্কি সমর্থিত গেরিলা গোষ্ঠী এফএসএ’র শেয়ার করা কিছু ভিডিওতে দেখা গেছে, তারা রাস্তায় আনন্দ করছে, বিজয়ের সংকেত দেখাচ্ছে ও পতাকা উড়াচ্ছে।
আফরিনের কুর্দি কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, গত কয়েক দিনে অন্তত দেড় লাখ মানুষ শহর ছেড়ে নিরাপদ স্থানে আশ্রয় নিয়েছে। এছাড়া শহরে খাদ্য ও পানি সংকট চরম আকার ধারণ করেছে।
প্রায় দুই মাস ধরে সিরিয়ার আফরিন অঞ্চলে সামরিক অভিযান চালাচ্ছে তুরস্কের সেনাবাহিনী। কুর্দি গেরিলা সংগঠন ওয়াইপিজি-কে নির্মূল করতে এ অভিযান চালানো হচ্ছে বলে দাবি করছে তুর্কি সরকার। পার্সটুডে