ছাতক প্রতিনিধি : ছাতকে সরকারি খাল দখল নিয়ে দু’পক্ষের সংঘর্ষে পুলিশসহ অর্ধশতাধিক লোক আহত হয়েছে। এদের মধ্যে ১৩জনকে সিলেট ওসমানি মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে। শনিবার সকাল ৮টায় কালারুকা ইউপির রায়সন্তোষপুর সংলগ্ন ঝাওয়া ব্রিজের উপর এঘটনা ঘটে।
জানা যায়, রায়সন্তেুাষপুর গ্রামের আবদুল করিম ঝাওয়া ব্রিজ এলাকায় বোর জমিতে পানি সেচের বিষয় নিয়ে একই গ্রামের ছালিক মিয়াকে শারিরীক নির্যাতন করে। এছাড়াও রায়সন্তোষপুর গ্রামবাসির কাছ থেকে সরকারি খাল লিজ নিয়ে জবর-দখলের অপচেষ্টায় লিপ্ত হন। এরজের ধরে গ্রামবাসি আবদুল করিমকে ছাতক-গোবিন্দগঞ্জ সড়কের ঝাওয়া ব্রিজের নীচে সড়ক ও জনপথ বিভাগের খালে মাছ ধরতে নিষেধ করা হয়। কিন্তু তাদের বাঁধা-নিষেধ অমান্য করে মাছ ধরতে গেলে আবদুল করিম ও তার গোষ্টির লোকজনের উপর দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে চড়াও হন গ্রামবাসি। এসময় পুলিশের উপস্থিতিতে ব্রিজের মধ্যেই দু’পক্ষের লোকজন সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। প্রায় দেড়ঘন্টা ব্যাপী সংঘর্ষে ৪জন পুলিশসহ উভয় পক্ষের অর্ধশতাধিক লোক আহত হয়েছেন। এদের মধ্যে ১৩জনকে সিলেট ও অন্যান্য আহতদের ছাতক ও কৈতক হাসপাতালে ভর্তি ও চিকিৎসা দেয়া হয়েছে। আহতরা হচ্ছে গৌছ আলী (৪৫), আবদুল করিম (৫৫), রজব আলী (৬৫), সাদিকুর রহমান (২৫), আকল মিয়া মেম্বার (৩৫), তারিক মিয়া (৩০), আবদুল মতিন (৩৫), লিটন মিয়া (৩০), একজামিন আহমদ (২৫), বকুল মিয়া (৩৫), হরমুজ আলী (৪০), মছব্বির আলী (৪৫), সোয়েব আহমদ (১৬), নিলু মিয়া (২০), সামছুদ্দিন (২৭), এহসান (২৫), কাওসার আহমদ (৩০), আবদুল কাদির (৪৫), আমিরুল হক (৩৩), সাহাব উদ্দিন (৬৫), জুয়েল মিয়া (২২), মজলু মিয়া (৪০), আবু সালেহ (২৫)। সংঘর্ষের এক পর্যায়ে আবদুল করিম ঝাওয়া রেল ব্রিজের পশ্চিমের বাড়িতে গিয়ে দরজা বন্ধ করে আত্মগোপন করেন। তার গোষ্টির লোকজন মোহনপুর, হাসনাবাদ, নৌকাকান্দি, হাসনাবাদবাজার, খাইরগাঁওসহ বিভিন্ন এলাকায় পালিয়ে আত্মরক্ষা করেছেন বলে জানাগেছে।
গ্রামবাসির দাবি হচ্ছে ঝাওয়া ব্রিজের নীচের সরকারি খালটি প ায়েতের একটি আয়ের উৎস। কিন্তু গ্রামবাসির কাছ থেকে খাল লিজ এনে কয়েক বছর থেকে এর বিনিময় না দিয়ে অবৈধভাবে জবর-দখলের অপচেষ্টা চালান করিম। এতে গ্রামবাসী ক্ষিপ্ত হয়ে মাছ ধরতে গেলে দু’পক্ষে সংঘর্ষ বাঁধে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রন করতে ছাতক থানার এসআই তরিকুল ইসলাম, কনষ্টেবল জুনেদ আহমদ, কনষ্টেবল সজলসহ ৪পুলিশ সদস্য আহত হন। এলাকায় থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে। ছাতক থানার ওসি আশেক সুজা মামুন ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে জানান, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে রয়েছে। ওসি তদন্ত আশরাফুল ইসলাম জানান, কোন পক্ষই থানায় মামলা দায়ের করেনি। তবে এলাকার পরিস্থিতি শান্ত রয়েছে।