শীতের হালকা বাতাস প্রভাবিতো হতে না হতেই মানুষ ভুলতে চলেছে তীব্র গরমের কথা। প্রকৃতির নিয়ম অনুসারে গরম হাওয়া গত হয়ে শীতের ঠান্ডা হওয়া বইতে চলেছে। এতেই প্রমাণ হয় শীত আর বেশী দুর নয় খুব কাছাকাছি। সকালের ঘুম থেকে উঠেই শরীলে স্পর্স করে এখন শীতের হিমেল হাওয়া। শীত মানে শান্তি,শীত মানে স্বস্তি! বর্তমানে মানুষ চারিদিকে স্বস্তির ঠান্ডা অনুভব করছে। শীতের আগমনের সাথে সাথে যুক্ত হচ্ছে রিমঝিম বৃষ্টি। এবারের শীতে আমরা একটু মানবিক হই! শীতকে অন্যরকম ভাবে উপভোগ করি। শীত যেমন আমাদের কাছে শান্তির এবং স্বস্তির। টিক কিছু মানুষের কাছে অশান্তির কারণ? আমাদের প্রায় সবার দৃষ্টিগোচর হয় চারপাশের কতকিছুর দিকে। কেউ দেখি, কেউবা এরিয়ে যাই। অল্প কিছুদিন পর শীতের গরম কাপড়ের বেচাকেনার হিড়িক পড়বে বাজার গুলোতে। তাতে সামিল হবো আমরা সবাই, কম বেশ সবাই কিনবো গরম কাপড়। কিন্তু আমাদের চারপাশে এমন অসংখ্য মানুষ আছে শীতের কাপড় কিনবে তো দুরের কথা! নিয়মিত ভাত খেয়ে বাঁচতে পারেনা। এমন অসহায় হতদরিদ্র শত শত মানুষ তীব্র শীতে খোলা আকাশের নিচে বস্ত্রহীন পরে থাকে। আমরা একটু মানবিক হলে আমাদের চারপাশের রাস্তায়, রেল স্টেশনে,বাস স্টেশনে বস্ত্রহীন কেউ পড়ে থাকবেনা। শুধু একটু মানবিকতার প্রয়োজন। আমরা চাইলে তাদের অশান্তির শীতটাকে শান্তির এবং স্বস্তির করে তুলতে পারি। নিজের নতুন নয় পুরাতন একটি করে গরম কাপড় তাদের মাঝে বিলিয়ে দিলে তারা তীব্র শীত থেকে রেহাই পাবে। তারা ও আমাদের মত করে শীতকে স্বস্তিতে অনুভব করবে। আমরা সবাই নিজের অবস্থান থেকে সর্বত্র চেষ্টা করলে অবশ্যই এই অসহায় সহায়-সম্ভলহীন মানুষের মুখে হাসি ফুটবে। তাই এখনই নিজেকে প্রস্তুত করে নাও,আশপাশের আসহায় মানুষদের দিকে নজর দাও। নিজেদের ঘুমন্ত মানবতাকে জাগ্রত করে। মানবিক কাজে এগিয়ে এসে করো মানবতার লড়াই। পরিশেষে একটি কথা বলতে পারি-মানুষ মানুষের জন্য,জীবন জীবনের জন্য। জয় হোক মানুষের,জয় হোক মানবতার।
-বদরুল আলম চৌধুরী
মানবাধিকার কর্মী ও সংবাদ কর্মী।