মির্জা তামিমঃ- শেকড়ের খোজে পূর্ব পুরুষের বসত বাড়িতে এলেন মির্জা আব্দুল করিম সিংগাপুরের লেভার পার্টির প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান মির্জা মজিদের ২য় ছেলে।
মির্জা আব্দুল মজিদ সিলেট বিভাগের হবিগঞ্জ জেলার নবীগঞ্জ উপজেলার এনাতাবাদ মোগল বাড়ির মির্জা আব্দুল হেকিমের পুত্র।তিনি উনিশ শতকের প্রথম দিকে নবীগঞ্জ থানার তাহির পুর মাদ্রসা থেকে নবীগঞ্জের প্রথম ছাত্র হিসেবে ফাস্ট ক্লাস পান,এর পরে তিনি উচ্চ শিক্ষা গ্রহনের জন্য প্রথমে লন্ডন পরে জার্মান এর পরে সিংগাপুরে যান এবং সেখানেই স্থায়ী হয়ে যান।পরে সমগ্র এশিয়ার যতো লেভার তাদের নিয়ে গঠন করেন সিংগাপুর লেভার পার্টি আর এতে তিনি সে দেশের দুই বারের পার্লামেন্টারিয়ান ও। পরে ১৯৫৭ সনে তিনি সে দেশের প্রেসিডেন্ট পি কুয়ান এর প্রধান বিরুধী দল হিসেবে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দীতা করেন।অতঃপর ভোট কার্চুপির কারনে তিনি পরাজিত হন।মির্জা আব্দুল মজিদ ১৯৭৮ সালে সিংগাপুরেই মৃত্যুবরণ করেন।তিনি আর বাড়িতে ও আসেন নি।উনার ছেলে ৫ জন মেয়ে পাচ জন। আর উনার বড় ছেলে মির্জা আব্দুল হামিদের চেষ্টায় ও অনুরোধে মির্জা আব্দুল করিম উনার চাচাত ভাই মির্জা আব্দুর রব ইউছুফের সাথে যোগাযোগ করেন।আর মির্জা আব্দুল করিম এই বছর নিয়ে বিশ বার এসেছেন বাংলাদেশে একমাত্র বিশ্ব ইস্তেমার কারনে। মির্জা আব্দুল করিম আবার সারা পুর্ব এশিয়ার তাবলিগের মুরুব্বি। মির্জা আব্দুল করিম চাকুরী জীবনে সিংগাপুর জাতীয় পেট্রোল কম্পানীতে ডেপুটি ম্যানাজারের দায়িত্বে ছিলেন | তিনি বাংলা ভাষায় কথা বলতে পারেন না। উনার বাবার কাছ থেকে এনাতাবাদ মোগলবাড়ির ঠিকানা জেনেছেন।গত ১২ই জানুয়ারী বিশ্ব ইজতেমা শেষে বাপ দাদার ভিটে মাটি দেখার জন্য এসেছিলেন তিনি তার বাবার জন্ম স্তান এনাতাবাদ মোগল বাড়িতে । ৩দিন অবস্থানের পর উনি সিংগাপুরে চলে ১৫ই জানুয়ারী | মির্জা আব্দুল করিমকে কাছে পেয়ে মোগল বাড়িতে আনন্দের পরিবেশ বিরাজ করছিল |