নিজস্ব প্রতিবেধকঃ- যুদ্ধাপরাধীদের বাঁচাতে বিএনপি সব ধরনের পন্থা অবলম্বন করেছে বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব উল আলম হানিফ।
মঙ্গলবার দুপুরে আওয়ামী লীগ সভাপতির ধানমন্ডির রাজনৈতিক কার্যালয়ে দলের সহযোগী ও ভ্রাতৃপ্রতিম সংগঠনের সঙ্গে বৈঠকে শেষে সাংবাদিকদের তিনি এ কথা বলেন।
হানিফ বলেন, ‘যুদ্ধাপরাধীদের বিচার বানচাল করতে এমন কোন কাজ নেই যা বিএনপি করে নাই। দেশে হরতাল দিয়ে অস্থিতিশীল পরিবেশ সৃষ্টি করে তারা মানুষ খুন করেছিল। সরকারের উপর চাপ সৃষ্টি করে বিচারকাজ যেন বন্ধ হয় সেজন্য বিদেশেও আন্তর্জাতিক লবিস্ট নিয়োগ করেছিল। কিন্তু তাদের সে ষড়যন্ত্র সফল হয়নি।’
আওয়ামী লীগের এই নেতা বলেন, ‘স্বাধীনতা যুদ্ধের সময় যারা বিরোধিতা করেছিল, রাজাকার-আলবদর-আল শামস গঠন করে আমাদের মানুষের ওপর নির্মম নির্যাতন করেছে, আমাদের মা-বোনদের ওপর অত্যাচার করেছে, বঙ্গবন্ধু তাদের বিচারের ব্যবস্থা করেছিলেন।’
হানিফ বলেন, ১৯৭৫ সালে বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারে হত্যার পর যখন জিয়াউর রহমান রাষ্ট্রক্ষমতায় আসেন, তখন তিনি যুদ্ধাপরাধীদের মুক্ত করে দিয়েছিলেন। শুধু তাই নয়, গোলাম আযম স্বাধীনতার পর প্রথমে পাকিস্তান পালিয়ে যান। সেখান থেকে লন্ডনে গিয়ে তিনি ‘পূর্ব পাকিস্তান পুনর্গঠন কমিটি’ গঠন করে দেশবিরোধী তৎপরতা অব্যাহত রাখেন। তাকেও জিয়াউর রহমান দেশে ফিরিয়ে আনেন।
বৈঠক শেষে আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব উল আলম হানিফ দলটির সকল পর্যায়ের নেতা-কর্মী ও দেশবাসীকে আড়ম্বরপূর্ণ বিজয় দিবস ও র্যালি পালনের আহ্বান জানান।
হানিফ বলেন, দেশে যুদ্ধাপরাধীদের বিচার সম্পন্ন হচ্ছে। ষড়যন্ত্র-চক্রান্ত ছিন্ন করে উন্নয়নের পথে এগিয়ে যাচ্ছে দেশ। এজন্য এই বিজয় দিবসে বিজয়ের নতুনমাত্রা যোগ করবে। ভিন্ন আঙ্গিকে আড়ম্বপূর্ণ বিজয় দিবস পালন ও বর্ণাঢ্য র্যালি করার মধ্য দিয়ে স্বাধীনতা বিরোধীদের সকল ষড়যন্ত্র চক্রান্ত প্রতিহতের শপথ নিতে হবে।
তিনি বলেন, অচিরেই জামায়াতে ইসলামী নিষিদ্ধ হবে। এজন্য তারা মরণ কামড়ের মত শেষ ষড়যন্ত্র-চক্রান্ত করবে। আমাদের ঐক্যবদ্ধভাবে এগুলো প্রতিহত করতে হবে।
বৈঠকে যুদ্ধাপরাধীদের বিচার করা এবং স্বপ্নের পদ্মাসেতু বাস্তবায়ন কাজের উদ্বোধন করায় প্রধানমন্ত্রীর প্রতি সর্বসম্মতভাবে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করা হয়েছে বলে হানিফ জানান।
বৈঠকে আরও উপস্থিত ছিলেন- সাংগঠনিক সম্পাদক আহমদ হোসেন, দপ্তর সম্পাদক আবদুস সোবহান গোলাপ, আব্দুল মান্নান খান, স্বাস্থ্য সম্পাদক বদিউজ্জামান ভূইয়া ডাবলু, তথ্য সম্পাদক আফজাল হোসেন, কার্যনির্বাহী সদস্য সুজিত রায় নন্দীসহ সহযোগী ও ভ্রাতৃপ্রতিম সংগঠনের নেতৃবৃন্দ।
এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি এম এ আজিজ, প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টা ইকবাল সোবহান চৌধুরী, সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোটের সভাপতি গোলাম কুদ্দুছ, স্বাচিপের সভাপতি ইকবাল আর্সলান, ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশনের সাধারণ সম্পাদক আব্দুস সবুর, যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক হারুনুর রশীদ, মহিলা লীগের সভাপতি আশরাফুন্নেছা মোশাররফ, যুবমহিলা লীগের সভাপতি-সাধারণ সম্পাদক, কৃষকলীগের সভাপতি মোতাহের হোসেন মোল্লা, স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি-সাধারণ সম্পাদক, ছাত্রলীগের সভাপতি-সাধারণ সম্পাদক, কৃষিবিদ ইনস্টিটিউশনের সাধারণ সম্পাদকসহ সহযোগী ও ভ্রাতৃপ্রতিম সংগঠনের নেতারা।